... স্মার্ট কার্ড থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে??জানা অজানার ইন্টারনেট

স্মার্ট কার্ড থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে??জানা অজানার ইন্টারনেট

স্মার্ট কার্ডের নানা সুবিধার কথা আমাদের অনেকেরই অজানা। বর্তমানে 9 কোটি 20 লাখেরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত। এই তথ্য  ইসি সূত্রে জানা গেছে।
সারাদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান এবং হালনাগাদ এর কার্যক্রম চলছে।এ বিষয়ে কেউ যদি তথ্য গোপন করে অথবা ভুল তথ্য দেয় তাহলে তার সর্বোচ্চ 5 বছর জেল এবং 50 হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।অতএব জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সঠিকভাবে দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।
এবার দেখা যাক কি কি পদার্থ নতুন পরিচয় পত্র অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড এর কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
কার্ডটিতে তিন স্তরে 25 টির মত নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

১। প্রথম স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য খালি চোখে দেখা যাবে।
২।দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য গুলো দেখার জন্য প্রয়োজন হবে বহনযোগ্য যন্ত্রাংশ।
৩। তৃতীয় স্তরের জন্য কোন ল্যাবরেটরীতে ফরেনসিক টেস্ট করার প্রয়োজন হবে।
৪। এটিএম মেশিন রিডেবল।
এছাড়াও স্মার্ট কার্ড টি কে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার জন্য আটটি আন্তর্জাতিক সনদপত্র ও মানপত্র নিশ্চিত করা হবে।



স্মার্ট কার্ড টি প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এবং পুরানো কার্ডটি ফেরত নেওয়া হবে।
এবার আসুন দেখা যাক কারো স্মার্ট কার্ড যদি হারিয়ে যায় অথবা তিনি যদি পুনরায় কার্ড টি পেতে চান তাহলে কি করতে হবে?


১। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফি এর বিধান রয়েছে।
২। কার্ড নবায়নের জন্য ফি (সাধারণ) 250 টাকা।
৩। জরুরী ভিত্তিতে প্রদানের ফি 500 টাকা।
৪। হারানো বা নষ্ট কার্ড উত্তোলনের প্রথম বার ফি (সাধারণ) 500 টাকা।
৫। আর জরুরী ভিত্তিতে প্রদানের জন্য ফি 1000 টাকা।



ইচি জানিয়েছে বিভিন্ন পাবলিক সার্ভিস নিতে এই আইডি কার্ড প্রদর্শন অত্যাবশ্যক করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। চাকরির মেয়াদ হবে 10 বছর। এটির মূল্য 200 টাকা। তবে প্রথমে বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।



এদিকে নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট কার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে ভোটারদের নতুন যে আধুনিক আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ইসি কিছু নতুন বিধিবিধান করেছে।


দ্বিতীয়বার হারালে কি ধরা হয়েছে সাধারণ 1000 টাকা।
জরুরী ভিত্তিতে প্রদানের জন্য 2000 টাকা।
এছাড়া দ্বিতীয় বারের পর কার্ড হারালে বা নষ্ট হলে ভোটারকে জরিমানা দিতে হবে সাধারণ 2000 টাকা।আর জরুরী ভিত্তিতে প্রদানের জন্য 4 হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।


যে সকল সুবিধা পাওয়া যাবে:
সরকারি সব অনলাইন সুবিধা,
ড্রাইভিং লাইসেন্স ,
পাসপোর্ট ,সম্পত্তি বেচাকেনা ,
টিআইএন পাপ্তি,
রেজিস্ট্রেশন,
পাসপোর্ট,
ব্যাংক হিসাব খোলা ,ব্যাংক ঋণ গ্রহণ ,
সরকারি ভাতা উত্তোলন ,শেয়ার, বিও একাউন্ট ,ট্রেড লাইসেন্স ,যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ সংযোগ, মোবাইল সংযোগ ,হেলথ কার্ড ও শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজ ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজে স্মার্ট কার্ড দিয়ে করা যাবে।
ধন্যবাদ।।।
ছবি: ইন্টারনেট

Post a Comment

Previous Post Next Post