সুরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত
=========================================================================
পবিত্র আল কোরআনের ৯-নং সুরা আত- তাওবা
এই সুরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
তাওবাশব্দের অর্থ-অনুশোচনা
আয়াত সংখ্যা-১২৯
রুকু-১৬
শব্দের সংখ্যা-
অক্ষরের সংখ্যা
সুত্রঃ
এই সুরার একটি প্রদান বিশিষ্ট হল বিসমিল্লা ছাড়া শুরু।
পবিত্র করানের সকল সুরার আগে বিসমিল্লা আছে কিন্তু এই সুরার শুরুতে বিসমিল্লা নেই।
সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা। তারপরেও যাদের জানা নেই তাদেরকে জানানোর দায়িত্ব আমাদের যারা আমরা জানি। আজকে আর্টিকেল সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত।
১।যে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের পর একবার করে এই আয়াত দুট পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ হাশরের দিন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তার জন্য শাফায়াত করবেন। (আমালে কোরআনী)
.২। যেকোনো রোগ বিপদ-আপদ সংকটের সময় এ আয়াতটি পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালার রহমত মুশকিল আহসান হবে। (আমালে কোরআনী)
৩।এই আয়াত দুটি প্রত্যহ ৪১ বার পাঠ করলে স্বপ্নে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের জিয়ারত লাভের সৌভাগ্য হয়।
৪।সর্বদা এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলে আয়ু বৃদ্ধি হয়। আয়ু বৃদ্ধির জন্য এ আয়াত দুটির আমলই সর্বোৎকৃষ্ট।
কিতাবে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা হযরত আবু বকর ইবনে মহাদিকে স্বপ্নে দর্শন দিয়ে আদেশ করেন যে, হযরত শিবলী তোমার নিকট আসলে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো। আমিও তাকে সম্মান করে থাকি, কারণ তিনি একাধারে ৮০(আশি) বছর ধরে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাযের পর সুরা তওবার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করে আসছেন।
হযরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু বলেন "দিন দুনিয়ার যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য সুরা তওবার শেষ আয়াত পাঠ করা যথেষ্ট " ।
(আমলে কোরআনী)
হযরত ইবনে সাদ হতে বর্ণিত আছে যে কোন এক ব্যক্তির রানে আঘত লেগে এটা ভেঙ্গে গিয়েছিল। একদা কোন এক বুজুর্গ স্বপ্নে তাকে দেখা দিয়ে বলেছেন যে আহত স্থানে হাত রেখে সুরা তওবার শেষ আয়াত দুটি পাঠ কর এই আমলের ফলে সে ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করে। আয়াত ও অর্থঃ (আমলে কোরআনী)
![]() |
ছবি: সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত |
মহান আল্লহতায়ালা আমাদের প্রত্যেককে অমল করার তওফিক দিও।
আরো পড়ুন ঃ
Tags:
Islamic idea