... রাশিয়ান ইন্টার্নেট বা রুনেট।। কি এবং কেন? জানার জন্যে ইন্টারনেট।।

রাশিয়ান ইন্টার্নেট বা রুনেট।। কি এবং কেন? জানার জন্যে ইন্টারনেট।।


            Russian internet runet..
ছবিঃ ইন্টারনেট

রাশিয়ান ইন্টারনেট বা রুনেট।। সাইবার হুমকি মোকাবেলা লক্ষ্যে রাশিয়ান আইনপ্রণেতারা অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট গড়ে তোলার প্রস্তাবে চূড়ান্ত সম্মতি দিয়েছে রাশিয়ান পার্লামেন্ট ডুমা। রাশিয়া এখন আর বাইরের ইন্টারনেট ব্যবহার করবে না।। তারা তাদের নিজস্ব ইন্টারনেট ব্যবহার করবে।।
দেশটির সরকার বিরোধীরা বলেছেন এই আইনের ফলে রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপের ব্যবস্থা পাকা করা হচ্ছে।
তারা সম্পূর্ণ দেশীয় এই ইন্টারনেট এর নাম দিয়েছেন রাশিয়ান ইন্টারনেট বা রুনে ট।। এরপরের যা হচ্ছে তা হল বাইরের কোনো আক্রমণ শনাক্ত করা গেলে নিজেদের বহির্জগৎ থেকে সহজেই বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারবে রাশিয়া।।




রুনেটের প্রস্তাবটি রাশিয়ান পার্লামেন্ট ডুমায় পাস হয়েছে বিপুল ভোটে।  এই প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়েছে 68 জন কিন্তু এর পক্ষে মত দিয়েছেন 360 জন ভোটার।শিগগিরই পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলেও নির্বিঘ্নে পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই প্রস্তাবটির।



এরপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সই করলে এটি আইনে পরিণত হবে। এ বছরের পহেলা নভেম্বর থেকেই রুনেটের কাজ শুরু করতে চায় রাশিয়া

প্রস্তাবটি বরাবরই ডুমার সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে আসছে।এর প্র নে তাদের দাবি রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এই প্রকল্পের ফলে রাশিয়ার বাইরের সার্ভার থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ও অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট সচল থাকবে।ফলে অন্য কোন দেশ রাশিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেও তাতে রাশিয়ার কোন ক্ষতি হবে না।



আইনের খসড়া প্রস্তুতকারীদের একজন হলেন আন্দ্রেই ক্লিসাস। ভোটের আগে ডয়চে ভেলেকে বলেন আমরা যদি দেখি অন্য কারো আমাদের ওপর আক্রমণ করার সমর্থন আছে তাহলে আমাদেরও তা প্রতিহত করার ক্ষমতা থাকা উচিত।


এমন হামলা কোন দিক থেকে আসতে পারে সে বিষয়ে কোনো লুকোচুরি ও প্রয়োজন মনে করছে না ফেডারেশন কাউন্সিল এর অন্যতম সদস্য klisas।তিনি বলেন আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন মনে করলেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে পারে।


আইনের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তার উপর মার্কিন আগ্রাসী চরিত্রের প্রভাব ঠেকাতেই এর প্রয়োজন।2018 সালের একটি মার্কিন প্রতিবেদনে রাশিয়াকে দেশটির কৌশলগত প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।



আইন টিকে কিভাবে বাস্তবে রূপ দেওয়া হবে তা এখনো পরিষ্কার করা হয়নি।কিন্তু এর মাধ্যমে অনলাইন ট্রাফিক এর রুট নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য বিনিময় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

রাশিয়ার জাতীয় টেলিকম পর্যবেক্ষণ সংস্থা র রোজ কম নাত শোর এই প্রকল্পের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবে।যেকোনো হামলার ঘটনা ঘটলেও এই সংস্থা পুরো ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে।।নতুন আইনের ফলে এসব ইন্টারনেট প্রোভাইডার কে  রোসকমনাৎসোর এর কাছে নিয়মিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

মূল লক্ষ্য রাশিয়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তথ্য যতটা সম্ভব রাশিয়ার মধ্যে রাখা। আপাতদৃষ্টিতে এর লক্ষণ ও রাশিয়াকে বাইরের হুমকি থেকে রক্ষা করা বলে মনে হলেও অধিকার কর্মীরা বলছেন এর ফলে ক্রেমলিনের সমালোচকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের পক্ষে সহজ হবে।

রাশিয়ায় ইন্টারনেটে সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ী রাষ্ট্রীয় নীতি র অংশ হয়ে আছে। 2017 সালের কর্মকর্তারা বলেছিলেন 2020 সালের মধ্যে তারা ইন্টারনেট ট্রাফিকের 95 ভাগ স্থানীয করন় করতে চান।




2016 সালের একাই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকে ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে স্থাপন করা সার্ভারে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।তখন সেই আইনকে জঙ্গিবাদ মোকাবেলার ব্যবস্থা হিসেবে দেখানো হয়েছিল তবে এর মাধ্যমে সরকার বিরোধী অনলাইন প্ল্যাটফরম গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে তীব্র সমালোচনাও হয়েছিল।







source :douse vale..........

Post a Comment

Previous Post Next Post