... কপিরাইট কি? ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বাংলাদেশের ইউটিউবার রা!জানা-অজানার ইন্টারনেট

কপিরাইট কি? ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বাংলাদেশের ইউটিউবার রা!জানা-অজানার ইন্টারনেট



                                                                   কপিরাইট



          ইউটিউব এ আগ্রহের আমাদের শেষ নেই। ইউটিউবে কখন কি হয় কখন কোন আইন পাশ হয় সব কিছুই জানার আমাদের অনেক আগ্রহ। এর একটাই কারণ জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি ইউটিউবারদের আয় এর ভালো একটি উৎস। ইউটিউব এ অনেকেই ভিডিও বানিয়ে ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে অর্থ আয় করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি আর অনেক সহজ ব্যাপার নয়। 

           ভিডিও মনিটাইজেশন করতে এখন থেকে এক বছরের মধ্যে 1 হাজার সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন হয় এবং দশ হাজার মিনিট ওয়াচ টাইম প্রয়োজন হয়। সম্প্রতি ইউটিউব ও গুগলের কনটেন্ট নিয়ে বিপাকে রয়েছে ইউটিউবার রা।কারণ কপিরাইট আইন পাশের কক্ষে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টে ভোট হয়েছে। এতে আইনের পক্ষে ভোট পড়েছে বেশি। এাইম পাশে বিরোধিতা রয়েছে গুগোল ও ইউটিউব।এই বিতর্কিত আইনটি পাশ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে এই গ্রুপে আমি সংসদের 348 সংসদ সদস্য এবং বিপক্ষে ভোট দিয়েছে 278 জন সংসদ সদস্য।


আগে জেনে নেই কপিরাইট কি?:

কপিরাইট হলো একজন ব্যক্তির আইনি অধিকার যা এই ব্যক্তির তৈরি করা কোন কাজ কোথায় এবং কিভাবে ব্যবহার হবে তার সুরক্ষা নিশ্চিত ক রা।

 তবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি বতর্মান আইনের অধীন শিল্পীদের ন্যায্য সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।মেয়ে গুগল বলেছে এই আইনে গ্রুপের ডিজিটাল সৃজনশীল শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।




   কেন এই বিতর্ক: আইনের যে 2 টি ধারা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেগুলি অনুচ্ছেদ 11 ও অনুচ্ছেদ ১৩হিসেবে পরিচিত অর্থাৎ আর্টিকেল 11 এবং আর্টিকেল১৩। আর্টিকেল 10 এ বলা হয়েছে,যে কোন নিউজ ওয়েবসাইটের লিঙ্ক ব্যবহার করতে সার্চ ইঞ্জিন ও নিউজ এগ্রিগেট প্লাটফর্ম গুলোকে অর্থ দিতে হবে। অনুচ্ছেদ ধারা অনুযায়ী কপিরাইট লাইসেন্স ছাড়া যে কোন কিছু পোস্ট করলে বড় প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায় বদ্ধ করা হবে।







   কপিরাইট করা কাজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও আরোপিত হবে কড়াকরি।এরই মধ্যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কঁপিরাইটস পোস্ট করা গান ও ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।অনেক সংগীত শিল্পী চিত্র ও কারুশিল্পী মনে করেন এই নিয়ম বাস্তবায়ন হলে শিল্পীদের আর্থিক মূল্যায়ন সঠিকভাবে হবে আবার অনেকেই মনে করেন এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তৈরি করার কাজ যেগুলো user-generated কনটেন্ট বলা হয় যা ধ্বংসের মুখে পড়বে।







www.technoboybd.com
ছবি: ইন্টার্নেট

   নতুন নীতিমালা বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি করলেও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন মনে করেন এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন আমি মনে করি এতোদিন ইন্টারনেটে যতগুলো ভালো কাজ হয়েছে এটি তার মধ্যে।জাকারিয়া আরো বলেন আমরা অনেক সময়ই আরেকজনের তৈরি করা গান বা ভিডিও শেয়ার না করে ডাউনলোড করে আপলোড করে দেন।




   এ আইন বলবৎ করা হলে সেই অরাজকতা থামবে এ বং একইসঙ্গে সৃজনশীল কাজ করা শিল্পীরা এ আইনের মাধ্যমে তাদের মেধা সত্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে বলে জাকারিয়া মনে করেন। তবে যে ওয়েবসাইটগুলোর তিন বছরের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে যাদের বার্ষিক আয় 10 মিলিয়ন ইউরোর নিচে এবং মাসিক পাঁচ মিলিয়ন বা 50 লাখ নতুন ব্যবহারকারীর নেই সেসব ওয়েবসাইট এর আওতাধীন হবে না বলেও জানান জাকারিয়া সপণ।



আরও পড়ুন 








Collected from Internet।

Post a Comment

Previous Post Next Post