সকল মুসলিমের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক


 কারণ নামাজ যাবতীয় খারাপ কাজ অশ্লীলতা থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে। অতএব 
নামাজ বেহেস্তের চাবি। নামাজ ফরজ। ইসলামের মূল ভিত্তি পাঁচটি। এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। অতএব এই ভিত্তি টা কে মজবুত করে  ধরার জন্য সকলের কিছু না কিছু ভূমিকা পালন করা উচিত। তা না হলে আল্লাহর কাছে কি জবাব দেব।

আসুন নিজে নামাজ পড়ি অন্যকে নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করি।

 


নামাজ  বা সালাত  কি?
নামাজ ইসলামের পাচঁটি স্তম্ভের একটি।নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রদান উপাসনা কর্ম।

নামাজ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে উদ্ভুত এবং বাংলা ভাষায় পরিগৃহিত একটি শব্দ।
যা আরবী ভাষায় সালাত শব্দের প্রতিশব্দ।
পরসি উর্দু তুর্কি হিন্দি বাংলা ভাষায় একে নামাজ বলা হয় । এর মূল আরবী নাম সালাত।
সালাতের অর্থ :
স্মরণ  করা,মনে করা, খেয়াল করা।
সালাতের আরো দুই রকমের অর্থ হতে পারে একটা হচ্ছে আভিধানিক অর্থ
আরেকটি পারিপাশ্বিক অর্থ।
এর আভিধানিক অর্থ  দোয়া, রহমত, ক্ষমা, প্রার্থনা করা ইত্যাদি।
পারিপাশ্বিক অর্থ : শরীয়ত নির্দেশিত  ক্রিয়া পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে নামাজ বা সালাত বলা হয় যাহা তাকবীরে তাহরীমার(আল্লাহু আকবার) দ্বারা শুরু হয় এবং সালাম ফিরানোর ( আসসালামুয়ালাইকুম রহমতুল্লাহ) মাধ্যমে শেষ হয়।

সালাত কাকে বলে?
শরীয়ত নির্দেশিত  ক্রিয়া পদ্ধতির মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে নামাজ বা সালাত বলা হয় যাহা তাকবীরে তাহরীমার(আল্লাহু আকবার) দ্বারা শুরু হয় এবং সালাম ফিরানোর ( আসসালামুয়ালাইকুম রহমতুল্লাহ) মাধ্যমে শেষ হয়।

নামাজের উৎপত্তি কিভাবে?
ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই অসাল্লাম ৬১০ কৃষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়াত লাভ করেন।তার পর সূরা মুমিনের ৫৫ নম্বর আয়াতে  স্রষ্টার পক্ষ থেকে সকাল সন্ধ্যায় দৈনিক দুই ওয়াক্ত নামাজ মুসলিম দের জন্য ফরয  হওয়ার নির্দেশনা লাভ করেন।

৪০: আল-মু’মিন,
আয়াত: ৫৫,

فَاصْبِرْ اِنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّ اسْتَغْفِرْ لِذَنْۢبِكَ وَ سَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِیِّ وَ الْاِبْكَارِ

অতএব, হে নবী, ধৈর্যধারণ করো।  আল্লাহর ওয়াদা সত্য, নিজের ভুল-ত্রুটির জন্য মাফ চাও এবং সকাল সন্ধ্যা নিজের রবের প্রশংসার সাথে সাথে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করতে থাকো।


তিনি ৬১৪ খিস্টাবদে সকাল সন্ধ্যা  দুপুরে দৈনিক তিন ওয়ক্ত নামাজ পড়ার আদেশ লাভ করেন। ৬১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭  রজব  মিরাজের সময় ৫ অয়াক্ত নামাজ ফরজের নির্দেশ দেয়া হয়।এই সময় যোহর আসর ই'শা দুই রাকাত পড়ার নির্দেশ ছিল। ৬২৩ সালে আল্লাহর তরপ থেকে দুই রাকাত বিশিষ্ট যোহর আসর ও এশাকে নামাজকে চার রাকাতে উন্নত করার আদেশ দেওয়া হয়।

নামাজ ফরয হওয়ার শর্ত ?
নামাজ ফরয হওয়ার শর্ত তিনটি:
মুসলিম হওয়া
সবালক হওয়া
সুস্থ মসলিস্কের মানুষ হওয়া।
নামাজ কেন পড়বেন?
প্রতিটি মুসলিম বালেক পুরুষ অথবা নারীর জন্য আল্লাহ পাক এর পক্ষ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। যে ব্যক্তি কালেমা পড়ে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেছে শুধু মাত্র সেই ব্যক্তির উপর নামাজ পড়া ফরজ অর্থাৎ অবশ্যই পড়তে হবে। নামাজ মুসলিম ধর্মে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।






Post a Comment

Previous Post Next Post