যুব গেমস(ইয়উথ গেম) ২০১৮। জানা-অজানার ইন্টারনেট

বাংলাদেশ যুব গেমস এর উব্দধন করা হবে ৯ ই মার্চ ২০১৮
উদ্গোদন করবেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বঙ্গ বন্ধু জাতিয় স্টেডিয়ামে ।


ফুটবল নিয়ে অনেক মাতামাতি।
 চলছে প্রতিনিয়ত আর্জেন্টিনার পতাকা , ব্রাজিলের পতাকা উত্তোলন।



আমরা হুজুগে জাতি। ভাল-মন্দ দুই দিকই স্পষ্ট।
 এখন ভালোটা এই আমাদের দেশে অনাচার আর সহিংসতা শেষ নেই ।
সেইসব মানুষ কিছুদিনের জন্য হলেও আনন্দে মেতে উঠত ।



আর মন্দ হচ্ছে বাড়াবাড়ি ।সবকিছুতে আমরা এমন ভাগাভাগি আর রেষারেষির শিকার হয়ে যাবার ভয় লাগে ।যে বিশ্বকাপ ফুটবল আমরা কি ভালো ফুটবল খেলি আর কোন ইচ্ছে আছে আমাদের দেশের ফুটবলের হালে ।আমাদের জ্ঞান ছিল ফুটবল ।
এখন ক্রিকেটের যুগ ।



এই যে অস্ট্রেলিয়া  কোথাও কারো কাছে এ নিয়ে কোনো আস্ফালন দেখেনি বা।ড়িতে বাড়িতে পতাকা উত্তোলন কিংবা রাত জাগার ধুম ছিল না। শুনে অবাক হবেন এখনো ফুটবল এখানে জনপ্রিয়তা এক নম্বরে নেই ।তার আগে আছে ক্রিকেট ।আছে রা গবি ,এফ এল ,জাতীয় খেলা গুলো ।

কিন্তু তারপরও এ দেশ থেকে এদেশে চূড়ান্ত পর্বে দেশপ্রেমের সংজ্ঞা ভালবাসার নাম। আমরা দিয়েছি যেন প্রচার আর প্রকাশিত হয় ভালোলাগা সবাই এখানে জানেন ।কি হচ্ছে কেন হচ্ছে কেমন খেলছে দেশ। কিন্তু এই সময়ের হেরফের এদেশে  আপনি চাইলেও অনেক কিছু এনজয় করতে পারবেন না।



 এখন খেলাগুলো শুরু হয় রাত বারোটা। চেম্বার এর মধ্যে সময় করে অনেকেই দেখেন। কেউ রেকর্ড করে রাখেন। কেউবা ইউটিউবে কাজ সারেন ।আমাদের দেশের মত রাত জেগে খেলা দেখে সকালে অফিসে ঢুলুঢুলু কিংবা ফাঁকি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না অস্ট্রেলিয়ায়।



 আমার ধারণা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ও করতে পারবেন না কারন সবার আগে কাজ । তারপর আবেগ এ সত্যটি উপলব্ধি করলেও মানুষের আচরণ ও ভাষাগত অসংযমী।  তারকা টিভি মিডিয়ার উপস্থাপক কিংবা পরিচিত সুশীলদের অনেকেই বাধ্য জ্ঞান হারিয়েছেন। আপনি কোন দলের সমর্থক হতে পারেন তার মানে এই যে আপনি বিশ্বসেরা মেসি কে হাতের ছাগলের বাচ্চা ধরিয়ে দেওয়া নিম্নমানের ফটোশপের ছবি দিয়ে তারপর তাতে মজা করে লিখবেন।


 যারা এসব করছে তারা নাকি সমাজের আদর্শ ।নেইমারের পায়ের যোগ্যতা নেই সে মানুষ ও তার মাঠে পড়ে যাওয়া নিয়ে যা তা লিখছেন একবারও ভাবছেন না এতে করে এসব বীর খেলোয়ারদের কিছু আসবে যাবে না ।কাটা যাবে আপনার কান ।লজ্জা পাই আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব শেষে আপনার রুচি পড়বে তোপের মুখে।




 ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ফুটবল ইতিহাস জানা থাকলে আমরাও পারতাম দল বা দেশকে তৈরি করে সেসব না জেনে কেবল হুজুগ ।আর আমি বলি বাংলাদেশের ফুটবল কোনদিন সামনে এগোতে পারবে না ।সমর্থন আর ভালোবাসার প্রতীক বাড়ির ছাদে অফিস-আদালতে অন্য দেশের পতাকা উড়ানো কোন একটি বিশেষ দিনে বা জয়ের আনন্দে আপনি সে দলের জার্সি কিংবা জড়িয়ে ছবি দিতেই পারেন ।



কিন্তু মাসজুড়ে দেশের skyline আকাশের রং পরিবর্তন করে ফেলা ?এর নাম কি উন্মাদনা রোগ? আমার ধারণা সুবিধা ও সুযোগবঞ্চিত জাতি মিলি মিসে এমন করে যাদের জীবনে আনন্দ আর শান্তি ধরা দেয় না তারা এমন করলেও মানা যায়। কিন্তু আরো আছে সমাজ ও মানসিকতার অধঃপতন নানাভাবে বেরিয়ে আসছে এমন একজনকে দেখলাম হাঁটুর নিচ টা খালি রেখে দিয়েছেন সামাজিক মিডিয়ায়।




সে তিনি দিতেই পারেন। কিন্তু কারণ কি জানেন কারণ নাকি বিলাতের খেলোয়াড় এর কাছে গঠিত খাসখবর। বুঝনি ভাঁড়ের দল বিশ্বকাপ পেয়ে যায় কি করবেন তিনি ।জানেনই তো দূরের কথা বিলাতের আমজনতা তাকে চেনে না ।মনে রাখার প্রশ্নে প্রতিযোগিতার নিজেদের সাহিন্সা বড় ছোট হওয়ার প্রতিযোগিতা দানা বাঁধে।



 যখন মানুষ নগ্ন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চায় যখন হিংসা  বা ছোট হওয়ার প্রতিযোগিতায় দানা বাধে তখন মনে হয় নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চায় ।এর বর্তমান বিশ্বকাপ শেষ হয়নি এখনো আত্মহত্যার খবর দেখেছি । কোন দল বা কোন খেলোয়াড়ের জন্য নয়। তার ভয়। কি করেছে তার বন্ধু বা প্রতিবেশীদের মুখ দেখাবে ।মনে রাখতে হবে, যে দলের জন্য করছে সে দলের খেলোয়াড়রা পরাজয়ের পর  পরাজয় ভুলে সুখে-শান্তিতে অন্যদের খেলা দেখছে ।




আমরা এমন হবে সেটাও মনে করি না ।আমার ভয়টা আর অন্যকে নিয়ে চার বছর পর পর ।এভাবেই মেতে ওঠাপায় নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। এশিয়ার দেশগুলো তাদের আশ্রয় নিয়েছে তাদের সম্মান ছাড়া আর কিছুই শেখার আছে বৈকি। বাক্সবন্দী করে আমাদের ফিরতে হবে বাস্তবতায়। এ কথা বলেই তার অনেক কিছুই আড়ালে থেকে যায়। তারা মাঠে প্রদীপের আলোয় তাদের জাতিতে আপাতত আড়াল হয়ে যাওয়া এসব মানুষই আসল তারা তারা না থাকলে আমাদের এই তারকারাজি মূলত কারা প্রাইমারি স্কুলের টিচার শেষে এই কাজের নামেন তিনিঝিনাইদহ কোচিং করেছিলেন। 



2010 সালে উরুগুয়েকে বিশ্বকাপে 4 নম্বরে এনে দিতে পারার কৃতিত্ব তার। 2011 সালে তার নেতৃত্বে kopakap বীজই হয় উরুগুয়ে।সেমিফাইনাল ফাইনাল সব জায়গায় দলকে নিয়ে গেছেন তিনি। 


অজয় দাশগুপ্ত : কলাম লেখক।


####collected from আমাদের সময় আমাদের সময়#####





Post a Comment

Previous Post Next Post