===== চোখ কিভাবে কাজ করে=====
===চোখ কিভাবে কাজ করে?
অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ এ কে আজাদ
মাত্র দুই অক্ষরের শব্দ হলো চোখ।চোখের গঠন প্রক্রিয়া বেশ জটিল ।চোখের বিভিন্ন অংশ যেমন কর্ণিয়া ,আইরিশ, অ্যাকুয়াস হিউমার, বিট্রিয়াস হিউমার, optic nerve ইত্যাদি। ঠিক ঠাক দেখার জন্য প্রতি টি নির্দিষ্ট ছন্দে কাজ করে থাকে ।
ছোট্ট বলের মতো এই চোখ থাকে হাড়ের মজবুত কোর্টের ভিতরে ।চোখের পাতা দিয়ে বাইরে দিয়ে চোখের সাদা যে অংশ দেখা যায় তার নাম স্কেলেরা।
কিছু মাংসপেশি দিয়ে চোখ প্রয়োজনমতো ঘোরানো যায় ।আমরা যে রঙিন দেখি তা সম্ভব হয়েছে চোখের রেটিনার যে বিভিন্ন স্তর আছে সেটা রড ও কোন কোষের জন্য। চোখের অন্যতম উপাদান হলো ভিটামিন এ । ভিটামিন এ এর অভাব হলে রাতকানা রোগ হয়।
বিভিন্ন রোগের কারণে চোখের সমস্যা দেখা দিতে পারে।চোখের সমস্যা গুলোর মধ্যে চোখ ওঠা একটি ।চোখ লাল হওয়া ,চোখে কিছু পড়েছে এমন বোধ হওয়া ,চোখ ফুলে যাওয়া ,সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় চোখ লেগে যাওয়া ,সব সময় কিছুটা জমা এ রোগের লক্ষণ ।
ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণের কারণে এ রোগ হয় ।চিকিৎসকের পরামর্শে ড্রপ ব্যবহারে আরোগ্য লাভ করা যায় ।এটি ছোঁয়াচে রোগ ।তাই কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হয় ।
চোখের এলার্জি আরেকটি রোগ। চোখ চুলকানো ,পানিপাড়া ,লাল হয়ে যাওয়া ,চোখে গুটি ওঠা ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। শিশুদের এ রোগ বেশি হলেও বড়দের হতে পারে ।শুষ্ক মৌসুমে এ রোগ বেশি হয় ।একেক জনের একেক জিনিসে চোখের অ্যালার্জি হতে পারে ।ধুলাবালি ,খাবার, রাসায়নিক পদার্থ ,প্রসাধনী, ফুলের রেণুতে চোখের এলার্জি হয় ।
ট্যারা চোখ ও একটি রোগ ।যখন কোন বস্তুর দিকে তাকাতে গিয়ে চোখ সোজা থাকে এবং অন্য চোখ দেখে যায় তখন সেই বাঁকা চোখে ট্যারা চোখ। যেই চোখ ট্যারা থাকে সেই চোখে রোগী কিছুই দেখে না। চোখ দিয়ে কোন ভাবে কাজ চালিয়ে নেয় তারা ।
ছোট বালক-বালিকা কে অনেকে লক্ষীট্যারা বলে থাকে। তাদের ধারণার ট্যারা চোখ মঙ্গলের লক্ষণ। এটি একটি ভুল ধারণা । এর চিকিৎসা না করলে চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায় ।চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে ।
চোখে গা হতে পারে ।লক্ষণ হলো চোখের কালো মনিতে সাদা দাগ আক্রান্ত ।চোখ লাল ,ব্যথা হওয়া ,আলো সহ্য করতে না পারা এবং বৃষ্টি কমে যাওয়া আঘাতের কারণে এ রোগ হয় ধান কাটার মৌসুমে ধানের পাতার আঘাতে আমাদের দেশে এ রোগ বেশি হয়। ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রোগ হতে পারে ।
![]() |
মানুষের চোখ |
চোখের প্রদাহ হতে পারে ।
লক্ষণ হলো চোখ লাল হওয়া, আলো সহ্য করতে না পারা ,প্রচন্ড ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। রোগ বেশি দিন স্থায়ী থাকলে দৃষ্টি কমে যেতে পারে ।
চোখের ভয়ংকর রোগ হলো চোখের উচ্চচাপ বা গ্লুকোমা । চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যেমন টাটকা রঙিন শাকসবজি, ফলমূল এবং ডিম ,দুধ খেতে হবে ।কিছু করলে রোগ সারানো মোটেও ঠিক নয়। সন্তান জন্মদানের পর মায়ের চোখে কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর আগে চক্ষু রোগের চিকিৎসক দেখিয়ে নেয়া ভাল। একবার চোখ পরীক্ষা করে নেওয়া উত্তম ।
ডায়াবেটিস থাকলে সুগার নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই চোখ দেখানো উচিত। কেননা ডায়াবেটিস চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
সত্যিকার অর্থেই চোখ প্রতিটি মানুষের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ কাজেই এটির মূল্য দিতে হবে এবং যত্ন নিতে হবে। তবেই আমরা মারাত্মক চোখের রোগ থেকে রক্ষা পাবো।
Collected ,,,,
Tags:
health tips