শুঁটকি সম্পর্কিত গুরুত্ত পূর্ণ কিছু তথ্য।

     
শুঁটকি

             
              
শুঁটকি

                           Dry fish
 

শুঁটকি মাছ
dry fish


বাঙ্গালীর খাদ্য তালিকায় শুঁটকি একটি জনপ্রিয় উপাদান। আসুন জেনে নেই শুঁটকি সম্পর্কিত গুরুত্ত পূর্ণ কিছু তথ্য।


শুঁটকির মৌসুম
কার্ত্তিক মাস থেকে মাছ ধরা শুরু হয়  প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকে শুঁটকির মৌসুম শুরু হয়ে মার্চ মাসে গিয়ে শেষ হয়।
ভিটামিনঃ  
প্রানিজ প্রোটিনের খুবই গুরত্তপূর্ণ উৎস শুঁটকী মাছ।মানুষের শরীরের হাড়, দাঁত, নখের গঠন মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ  উপাদান হল ভিটামিন “D” যাহা এতে প্রচুর পরিমানে রয়েছে ।এছাড়া টাটকা মাছ থেকে শুঁটকি মাছে আমিষের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই খাদ্য তালিকায় শুঁটকী মাছের গুরুত্ত অনেক ।
                                                            
দোকানের সংখ্যা
চট্টগ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মতে, চট্টগ্রামে প্রায় ২৩০টি শুঁটকির দোকান আছে । সেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ দেশের ভিবিন্ন অঞ্ছলে বিক্রি হয়। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এবং সুস্বাদু খাবারের আরেক নাম শুটকী মাছ বা ফুঁউনি বা পোঁয়ানা মাছ। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকিয়ে শুটকি বানানো হয়ে থাকে। মেহমানদারীতে আর সব খাবারের পাশাপাশি শুটকীমাছের একটা তরকারি না থাকলে যেন মেহমানদারী পূর্নতা পায় না চট্টগ্রাম বাসীর । প্রতিদিন গ্রামে-গঞ্জে এমনকি শহরেও হাটে বাজারে গেলে শুটকি না কিনলেই তাদের চলে না। শুটকি না খেলে যেন রসনা পূর্ণ হয়না।
শুটকি দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকম মজাদার খাবার।  
 


 উৎপাদন
শুটকি প্রধানত চট্টগ্রামে হলেও খুলনা, রাঙ্গামাটি প্রভৃতি স্থানেও শুটকি উৎপাদিত হয়। তবে বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজার, মহেশখালী, কুতুবদিয়া,মাইশদিয়া অঞ্চলে শুটকি উৎপাদন হয়ে থাকে এবং পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত করন হয়ে থাকে। শধু চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকার কর্ণফুলীর তীরেই ৯৮ একরের বিশাল শুঁটকি পল্লিতে ১২০টি মাচাং-এ শুঁটকি উৎপাদিত হয়ে আসছে।
 
 


পক্রিয়াজাত করন
সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলার থেকে মাছ সংগ্রহ, মাছ পরিষ্কার এবং এসব মাছ মাচাং-এ প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁকিয়ে শুঁটকি উৎপাদন পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়ার সঙ্গে এখানে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের বিবিন্ন এলাকা থেকে আসা শত শত শ্রমিক। এখন যেন কারো এতটুকু দম ফেলার সময় নেই। শীতের আগমনের শুরু হতে না হতেই চট্টগ্রামের সাগর উপকূল দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় শুঁটকি উৎপাদনের ধুম লেগে যায় । সাগর উপকূলে জেলেরা বিভিন্ন প্রজাপতির মাছ আহরনের পর সেগুলো প্রাকৃতিক পন্থায় শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করতে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যেতে হয় ।  
 
শুঁটকির আড়ত
চট্টগ্রামের চাক্তাই হচ্ছে শুটকির প্রধান আড়ৎ। চাক্তাইয়ে একটি শুটকি পট্টিও আছে। রেয়াজউদ্দিন বাজারে বিভিন্ন জাতের শুটকি পাওয়া যায়। প্রায় সব ধরনের শুটকি বাজারে মিলে।
 
শুঁটকির প্রকারঃ 
২৬ রকমের শুঁটকী পাওয়া যায় শুঁটকির ভিবিন্ন প্রকারে মধ্যে রয়েছে
ছুরি শুটকি, চেলা, লইট্ট্যা, লাক্কা, রূপচাঁদা, পোপা, ইচা শুটকি, লাল ইচা, মইল্যা,  মিশালী, মিফল, কেচকি, মনুনিয়া, ইলিশ, মাইট্যা, চোফি, ফাইস্যা, ধইঞ্চাসহ আরো অনেক প্রকারের শুটকি রয়েছে
 
যেসব অঞ্চলে শুঁটকী শুকানে হয়ঃ
সাধারনাত কুয়াকাটা, দুবলারচর, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, সোনাদিয়া, রাঙ্গুনিয়া, খুরুশকুল, ঘোরকঘাটা, চকোরিয়া, সেন্টমার্টিন, নাজিরের টেক, সোনারচর, কক্সবাজার, আশারচরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শুঁটকি শুকানো হয়ে থাকে


জানা-অজানার ইন্টারনেট

Post a Comment

Previous Post Next Post