(Sura Bakarah)
সুরা বাকারার শেষ_ দুই আয়াত এর ফজীলত।
=========================================================================
এটি পবিত্র আল কোরানের দ্বিতীয় নম্বর সুরা।
এই সুরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
বাকারহ শব্দের অর্থ-গাবী
আয়াত সংখ্যা-২৮৬
রুকু-৪০
শব্দের সংখ্যা- ৬,২২১
অক্ষরের সংখ্যা ২৫,৫০০
সুত্রঃ তাপসীর ইবনে কাসির
সুরা বাকারা এর শেষ দুই আয়াতের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা। তার পরেও যাদের জানা নেই আমাদের উচিত যারা আমরা জানি তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া।
পবিত্র আল -কোরআনের
প্রতিটা আয়াত অত্যন্ত দামি। আজকের আর্টিকেল সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত ও আমলের নিয়ম কানুন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:
১।সুরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত আছে ,যে ব্যক্তি এই দুইটি আয়াত রাত্রে পাঠ করে তা তার জন্য যাবতীয় বিপদ-আপদ ও বালা- মসিবত নিবারণার্থে যথেষ্ট ।
( বুখারী ও মুসলিম)
.২।হযরত নোমান ইবনে বশীর রাদিয়াল্লাহু এরশাদ করেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
আল্লাহ্ তায়ালা আকাশ ও জমিন সৃষ্টি করার ২০০০(দুই হাজার) বছর পূর্বে কিতাব কোরআন লিপিবদ্ধ করেছেন। তৎপর তাহাতে দুটি আয়াত নাযিল করেছেন। যদ্দ্বারা সূরা বাকারা সমাপ্ত করেছেন ।যে ঘরে এ দুটি আয়াত দিন রাত্রি পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘরের নিকটে আসে না।
(তিরমিজি ও দারমি)
.৩। এক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল আপনি নিজের জন্য কি পছন্দ করেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন সুরা বাকারার শেষ অংশ কে। কারণ তা আল্লাহ তাআলা রহমতের ভান্ডার এবং তার আরশের নিন্ম ভাগ হতে অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি উম্মতকে এটা দান করেছেন যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যাণ ই শামিল আছে।
৪।অন্য রেওয়ায়েতে আছে অতএব তোমরা তা শিখ আর তোমাদের স্ত্রীদের কে ও তা শিখাও কেননা এই আয়াত দুটি আল্লাহর রহমত লাভের উসিলা এবং দোয়া।
(দারমী)
.৫।রাত্রে শয়নকালে এ আয়াত দুটি পড়ে নিলে ইনশাআল্লাহ চোর-ডাকাতের এবং অন্যান্য যাবতীয় বালা-মুসীবত হতে
নিরাপদ থাকা যায়।
(আমালে কোরআনী)
![]() |
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত |
আয়াতের অর্থঃ
২৮৫ নং আয়াত:
রসুল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্তত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ্ থেকে তার কাছে অবতীর্ণ হয়েছে। এবং মুসলমানরা ও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাদের প্রতি, তার গ্রন্থ সমূহের প্রতিি এবং তার পয়গম্ব্গনের প্রতি ।তারা বলে আমরা তার পয়গম্বদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলেে আমরা শুনেছি ,আমরা কবুুল করেছি আমরা তোমার ক্ষমা চাই ।হে আমাদের পালনকর্তা আমারা তোমার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন তোমারই নিকট।
২৮৬ নং আয়াত:
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না ,সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তা ই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা !এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ। হে আমাদের প্রভূ !এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই ।আমাদের পাপ মোচন কর, আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া ক্র, তুমিই আমাদের প্রভু সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্য করো।
আল্লার কোরআন পড়লেই লাভ আর লাভ।প্রতি আয়াতে কমপক্ষে ১০ নেকি। ওই দিন বুঝে আসবে যে দিন আমল করার কোন সুজুগ আর পাওয়া যাবে না। আল্লাহপাক আমাদের কে বেশি বেশি কোরআন পড়ার তওফিক দান করুন।
আমরা কোরআনের সৈনিক
এ কোরআন পড়ি দৈনিক।
কোরআনকে ভালো বাসি মোরা
জীবনের ছেয়ে অধিক।
আমিন সুম্মা আমিন
Tags:
Islamic idea