Voice typing
হেডলাইন দেখে বুঝতে বুঝতে পারছেন হাতে লেখার দিন শেষ। এখন আপনি চাইলেই মুখ দিয়ে লিখতে পারবেন।
অর্থাৎ মুখে বলবেন আর অটোমেটিক লেখা হয়ে যাবে। একে বলা হয় ভয়েস টু টেক্সট টাইপিং। কিভাবে ভয়েস টু টেক্সট টাইপিং করা হয় সে সম্পর্কে আমার আজকের আর্টিকেল।
এক সময় ছিল টাইপরইটার। মানুষ চাকরির সিভিতে লিখত সে টাইপিং ভালো পারে এটি তার একটা যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হতো। যখন কম্পিউটারের যুগ এল তখনো টাইপিং এর স্পিড যার ভালো তাকে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এজন্য সরকারি অফিসগুলোতে কম্পিউটার অপারেটর নামক একটা পোস্ট রয়েছে। যেখানে যিনি কম্পিউটার টাইপ করতে পারেন তাকেই শুধুমাত্র নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা এ কথা শুনলে অবশ্যই তাদের হাসি আসবে। এটাও কি সম্ভব টাইপিং এর জন্য আলাদা পোস্ট।
যাই হোক টাইপ করার জন্য আমরা এন্ড্রয়েড ফোনে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যার টি হল জি বোর্ড। এই g-board এর মাধ্যমে আপনি আপনার voice কে টেক্সট এ পরিণত করতে পারবেন। আমি যখন এই টিউটোরিয়াল টি তৈরি করছি এটাও কিন্তু জিবোর্ড সফটওয়্যার এর মাধ্যমে। তা ছাড়া play stor এ আরো অনেক সফওয়্যার রয়েছে। আপনি চাইলে যে কোন একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
যুগে যুগে মানুষের দক্ষতা বেড়েই চলেছে। মানুষ এখন মজা করেই টাইপিং শিখে। সাধারণত যারা টাইপিং পারে তাদের স্পিড এমনিতেই গ্রো করতে থাকে। বর্তমান জেনারেশন টাইপিং স্পিড এর জন্য আলাদা কোন কোর্স করতে হয় না। কারণ ডেক্সটপ ল্যাপটপের দাম এখন হাতের নাগালে। স্মার্টফোনের কথা তো বলাই বাহুল্য।যা মানুষের জীবনের গতিকে আরো হাজার গুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।
মানুষ একটু আরামপ্রিয়। আর বর্তমান সময়ে যত সহজে কাজ করা যায় তাই নিয়ে মানুষের চিন্তা। বয়স কাটিং পদ্ধতিতে টে"জায়ান্ট" গুগল"অনেকদিন থেকেই এ ধরনের সেবা সীমিত আকারে দিয়ে আসছে
তবে এবার ভয়েস টাইপ মানে কথাকে টেক্সটে রুপান্তর করতে এমন একটি অ্যাপ এসেছে, যার সাহায্যে ৪০টিরও ভাষাকে text e রুপান্তর করতে পারে।
অ্যাপস টির নাম কি ?এটি কিভাবে ব্যবহার করা যাবে ?কোথায় পাওয়া যাবে ?নানান প্রশ্ন আমাদের মনে।
হা সেই বহুল প্রত্যাশিত অ্যাপসটির নাম DikTanot ।অ্যাপসের প্রো সংস্করণ খুবই নির্ভুল। চাইলে তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে কথা কে টেক্সট এ রুপান্তর এর পদ্ধতি যাচাই করতে পারেন। সেটার জন্য কোন টাকা পয়সা লাগবে না। ফেসবুক বা জিমেইল দিয়ে ঢুকলেই হবে।
অ্যাপসটির একটা প্রধান সুবিধা হল আপনি চাইলে মুখ দিয়ে লিখতে পারেন আবার মাউস বা কিবোর্ডের একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন। বাংলা বানানের নির্ভুল একটি অ্যাপস এটি।
অ্যাপসটি ফ্রি কিনা আসলে এই অ্যাপসটি ফ্রী কোন অ্যাপস না একে পেতে হলে আপনাকে 19 ডলার খরচ করতে হবে আসলে এর দাম ছিল 180 ডলার এখন অপারে 89 শতাংশ ছাড়ে 19 ডলারেই পাওয়া যাবে এই কার্যকর উপকারী অ্যাপসটি।
কিছু অ্যাপ নিচে দেয়া হ।
Space notes,
voice typing keyboard all language,
speech to text,
speech keys smart voice typing,
E-dictate,
Voicenotpad s