নোবেল করোনাভাইরাস স্ক্যাম ফিশিং সাইভার থ্রেট। জানা-অজানার ইন্টারনেট।

www.technoboybd.com
নোবেল করোনাভাইরাস স্ক্যাম ফিশিং সাইভার থ্রেট




  নোবেল করোনাভাইরাস 2019-nCoV স্কাম fishing  saivertreaths 




বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কে কাজে লাগিয়ে সাইবার-অপরাধীরা নতুন সাইবার ফিশিং ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। নতুন এই ফিশিং ই-মেইল প্রাপকদের সাধারন corona vairas  সম্পর্কে এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অথবা ইমেইল একাউন্ট খুলতে বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই লিংকে ক্লিক করতে বলা হয় ।
অথবা রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়।

 সাইবার-অপরাধীরা ফিশিং ইমেইলে ডকুমেন্ট ফাইল অথবা লিঙ্ক প্রেরণ করে। সেই ডকুমেন্ট (সাধারণত পিডিএফ অথবা doc )ফাইলটি ক্ষতিকারক কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা সংযুক্ত থাকে। যদি এই ফাইলটি ওপেন করা হয় বা ক্লিক করা হয় তবে ক্ষতিকারক কোড চালু হতে পারে।
 যা সাইবার অপরাধের নিয়ন্ত্রিত সার্ভারের সাথে সংযুক্ত হয়ে মেলওয়ার ফাইল ডাউনলোড হয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অজান্তে চালু হয়ে যেতে পারে।


Image source: https://bleeping computer.com


এই হুমকির উদ্দেশ্য হলো জনগণের আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে পিসিং ইমেইলের ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন অথবা লিংকে ক্লিক করতে প্ররোচিত করা ।


যা কম্পিউটার সিস্টেমকে স্মার্টফোনের দ্বারা ইনফেক্টেদ আক্রমণ করা ও পরবর্তী কোনো আর্থিক লাভের জন্য বা সাইবার অপরাধের জন্য সেই সিস্টেমকে ব্যবহার করা।

 

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নোবেল করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ফেক সর্তকতা বা ভুল তথ্য ও ফিশিং আক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে।


আইবিএম(IBM) এক্স -পর্সের তথ্য অনুযায়ী এই ফিশিং ক্যাম্পেইনে Emotet গোত্রের ট্রোজান  ম্যালওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে । যা অন্যান্য ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করতে পারে।



করোনাভাইরাস সম্পর্কিত যেকোন বিষয় যেমন ইমেইল সংযুক্তি, লিংক, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট , বার্তা সম্পর্কিত ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।


সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সমূহ:

১। যে কোন তথ্যের জন্য প্রতিষ্ঠিত সংস্থার নিরাপদ সাইটে বা বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা।

২।সর্বদা অযাচিত বা সন্দেহজনক ঠিকানা হতে আগত ইমেইল অথবা সামান্য হলেও সেগুলির ভিতরে থাকা লিংকটিতে ক্লিক অথবা ডকুমেন্ট ওপেন করা থেকে বিরত থাকা।

৩। আপনার সিস্টেমে প্রতিষ্ঠিত ( renowned)এবং পরীক্ষিত এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। ও সব সময় অ্যান্টিভাইরাস হালনাগাদ রাখুন। 

৪। শক্তিশালী ও কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

৫। যে সকল ক্ষেত্রে multi-factor অথেন্টিকেশন (2fa)চালু করা যায় সেই সকল ক্ষেত্রে multi-factor অথেন্টিকেশন চালু করুন। 

৬। অযাচিত বা সন্দেহজনক স্মার্টফোন অ্যাপস ডাউনলোড বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

Reference:

https://www.who.int/emergency/diseases/novel-coronavirus-2019/adcice-for-public


Post a Comment

Previous Post Next Post