গাজওয়াতুল হিন্দ্ কি ? হাদিস শরীফ কি বলে? পড়তে পড়তে শেখা।



 গাজওয়াতুল হিন্দ মানে সত্য মিথ্যার লড়াই 
================================


গাজওয়াতুল হিন্দ বলতে ইমাম মাহদী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ঈসা আলাই সাল্লাম এর আগমনের কিছু কাল আগে অথবা সমসাময়িক সময়। পাক ভারত বাংলাদেশের মুসলিম ও কাফেরদের মধ্যকার সংঘটিত যুদ্ধকে বোঝায়। এটা কে সত্য মিথ্যার যুদ্ধ বলা যায়।


এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন গাজওয়া অর্থ যুদ্ধ হিন্দু বলতে এই উপমহাদেশ তথা পাক ভারত ,বাংলাদেশ ,মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা ,নেপাল ও ভুটান কে বুঝায়। বর্তমানে এই অঞ্চলের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আমাদেরকে সেই যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 

এবার আসুন হাদীসের ভাষায় কি বুঝা যায়?
রাসূল (সাঃ)এর প্রতিটি কথা সত্য ।রাসূল( সাঃ) এ ই সত্য মিথ্যার যুদ্ধ সম্পর্কে চৌদ্দশ বছর আগে ভবিষ্যৎ বাণী দিয়েছেন। এটা অবশ্যই সংঘটিত হবে।



"রাসূল সা: এর হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি: 
 ১।খোরাসান অর্থাৎ বর্তমান আফগানিস্তান থেকে কালেমা খচিত কালো পতাকা দারীদের উত্থান এবং তাদের কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া।

২। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ভারতের কাশ্মীর সীমান্তে সেনা মোতায়েন। 

৩। বাংলাদেশের হকপন্থী ইসলামী দলগুলোর আলোচনায় উঠে আসা। 

৪।পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। 

৫।কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সাথে ভারতের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ।

৬।বাবরি মসজিদ ধ্বংস। 

৭।ভারতের মুসলমানদের উপর নির্যাতন , নিঃসন্দেহে ভারত বিভক্তির ইঙ্গিত বহন করে।






সেই সময় অবশ্যই পাক ভারত বাংলাদেশের মুসলিম নামধারী মোনাফেকরা আলাদা হয়ে যাবে। তারা হয়তো কাফেরদের পক্ষে যোগ দিবেন অথবা পালিয়ে বেড়াবেন। এই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে মুসলিমরা বিজয়ী হবে হবেন ইনশাল্লাহ।

বাইতুল মুকাদ্দাস বর্তমান ফিলিস্তিন এগিয়ে ইসলামের সাথে মিলিত হবে এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে। আগেই বলা হয়েছে এটা কোন সাধারন যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধ এই সত্যের সাথে মিথ্যার যুদ্ধ। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা মুসলমানদের কাজ। তারা সেটাই করবে আল্লাহতালা যা হুকুম দিয়েছেন।



গাজওয়াতুল হিন্দ এর ফজিলত সমুহ:
এই যুদ্ধে মুসলমানদের পক্ষে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদেরকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বদরের ঐতিহাসিক যুদ্ধের যু দ্ধা দের সম মর্যাদার যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।



এ যুদ্ধে যারা শহীদ হবেন তারা জান্নাতে বদরের যুদ্ধের শহীদদের সাথে থাকবেন।




যারা গাজী হবেন তারাও জান্নাতে বদরের যুদ্ধের গাজীদের সাথে থাকবেন। রাসূল সাঃ তার উম্মতদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিতে হয় তবুও যেন এই যুদ্ধে আমার উম্মতে রা অংশ নেয়।




রাসূল (সাঃ) গাজওয়ায়ে হিন্দ সম্পর্কে বলেছেন: আল্লাহ দুটি দলকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন । তার মধ্যে একটি হলো যারা অংশগ্রহণ করবে। আর তাদেরকে প্রদান করা হবে সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদের মর্যাদা।



ধর্মের নামে ভারতে আজ নির্দোষ মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। আর আমরা এখনো ব্যস্ত আছি প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে।আমরা ব্যস্ত আছি জীবন উপভোগ করা নিয়ে ।আমরা ব্যস্ত আছি বাতিলের পিছনে শ্লোগান দেওয়া নিয়ে । আমরা এখনো নাফরমানীর সাথে লিপ্ত। আমরা এখনো নাস্তিক্যবাদের পূজা করি। আমরা ইহুদি খ্রিস্টান কে নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করি।
নাউজুবিল্লাহ। 


বিধর্মীরা মুসলমানদেরকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। যদি মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিবেতাহলে পশু পাখির মত মুসলমানদের উপর তারা কেন আত্যচার করে। তারা কেন মুসলমানদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। মুসলমানরা তো অশ্লীলতায় বিশ্বাস করে না। কোন ধর্ম ই অশ্লীলতা সমর্থন করেনা।


ইতোমধ্যে আমরা দেখেছি মায়ানমারের মুসলমানদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে বৌদ্ধরা। তারা মুসলমানকে মানুষই মনে করে না। সেই একই চিত্র বিশ্ব দেখেছে ইন্ডিয়ার মধ্যে। এমন অত্যাচার মানুষ পশু পাখির উপর করে না।বিধর্মীরা পশুপাখির উপরে যে রকম আচরণ করে মুসলমানদের উপর এর বিন্দুমাত্র দেখায়নি। মুসলমানদের কি অপরাধ। তারা শুধুমাত্র একমাত্র আল্লাহর এবাদত করে। সৎকাজে আদেশ করে অসৎ কাজে নিষেধ করে। আখেরাতে বিশেষ করে। আল্লাহর ফেরেশতা কূলে বিশ্বাস করে। তারা পুনরুত্থানে বিশেষ করে। তারা কেয়ামতে বিশ্বাস করেন।



আল্লাহ আমাদেরকে গাজওয়ায়ে হিন্দে অংশগ্রহণ করার তৌফিক দান করুন আমিন।রাসূল ( সাঃ) বিজয়ী ঘোষণা করে দিয়ে গিয়েছেন তার উম্মতকে এবং আল্লাহর সেই দলকে সর্বোচ্চ শহীদদের কাতারে স্থান দিবেন ।সুবহানাল্লাহ।




বিস্তারিত : 
কিতাবুল ফেতান।।

Post a Comment

Previous Post Next Post