।।। 17 মিনিটের বদলে গেল নিউজিল্যান্ডের করাইস্টচার্চ ।।।
নিউজিল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় সাউথ আইল্যান্ডের শান্ত স্নিগ্ধ শহর ক্রাইস্ট চার্চ।যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, জাপানসহ ইউরোপের ও নানা দেশ থেকে এখানে এসে বসবাস গড়ে তুলেছেন অভিবাসীরা। ফলে স্থানীয় মাওরি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলেমিশে তারা সৃষ্টি করেছেন মিশ্র এক সংস্কৃতি।
যা ধর্ম বর্ণের প্রতি অনেক বেশি সহনশীল। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মুসলমানও সেখানে গিয়ে বসত গড়ে তুলেছেন এবং নির্বিঘ্নে তাদের ধর্ম কর্ম পালন করছেন। দারণা করা হচ্ছে এর জন্যই গতকাল শুক্রবার হামলার স্থান হিসাবে় উগ্র ডানপন্থী অস্ট্রেলিয়ান "বেন্টন টারেন্ট" ক্রাইস্ট চার্চকে বেছে নিয়েছিলেন।
হামলার আগে অনলাইনে প্রকাশ করা নিজের মেনিফেস্টো তেরেন্ট স্পষ্ট করেছেন মুসলিম ও অভিবাসী বিদ্বেষের কথা।
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী 2013 সাল পর্যন্ত ক্রাইস্টচার্চের ক্রাইস্ট চার্চ যুক্তরাজ্যের 17 হাজার 571 জন, চীনের 6 হাজার 822 জন, অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ হাজার 529 জন, ফিলিপাইনের 3126 জন, দক্ষিণ কোরিয়ার দুই হাজার 739 জন, south Africa 2494 জন, ভারতের দুই হাজার 466 জন, স্কটল্যান্ড এর 2439 জন,সমোয়ার 2187 জন, যুক্তরাষ্ট্রের 1995 জন অভিবাসী বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে আছে 27 হাজারেরও বেশি স্থানীয় মাওরি জনগোষ্ঠী। আর এ থেকেই বুঝা যায় ক্রাইস্টচার্চের সংস্কৃতি কত সমৃদ্ধ।
হামলার পর তাই নিজে ল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা ardent বলেছেন নিঃসন্দেহে এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা যার জন্য নিউজিল্যান্ডকে বেছে নেওয়া হয়েছে।কারণ এই দেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্যতার উদাহরণ। আমরা বর্ণবাদ কে ঘৃণা করি। আমরা বৈচিত্র ও সহমর্মিতা ভাগাভাগি করে নেই।আমরা সেসব শরণার্থীর সঙ্গেই আমাদের বরবাদ করে নিন যারা আমাদের মুল্যবোধ ধারণ করেন।এ হামলার মধ্য দিয়ে এই মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না।
![]() |
ছবি:ইন্টারনেট |
200 ও বেশি নৃতাত্বিক গোষ্ঠী ও 160 টির ও বেশি ভাষার অধিকারী আমরা এখনো এক গর্বিত জাতি।
আমাদের সময়
16 মার্চ 2019
16 মার্চ 2019
Tags:
খেলা