মৌমাছি বা মধু পোকা মহান স্রষ্টার এক বিস্ময়কর সৃষ্টি।জানাঅজানার ইন্টারনেট

                                           মৌমাছি সম্পর্কিত ভিবিন্ন তথ্য 
                                                                                     জানাঅজানার ইন্টারনেট 


মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনের 16 নম্বর সূরা আন নাহলে মৌমাছি বা মধু পোকা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। এই সূরার 68 থেকে 69 নম্বর আয়াতে মধু পোকা সম্পর্কে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন মজীদে বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে তারমধ্যে মধু পোকা একটি। এই মধুপোকা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, মধু পোকার জীবন রহস্য, মধুর উপকারিতা বিশেষ করে মানব শরীরে মধুর কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

সূরা :আন নাহাল ( মৌমাছি)
 মাক্কী
আয়াত: ১২৮
পারা: 
রুকু: ১৬
সূরা নং: ১৬


www. technoboybd.com
মধু পোকা


পবিত্র কুরআনের সূরা আন - নাহল এর ৬৮ ,৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন :


৬৮ । তোমার প্রতিপালক মৌমাছিকে উহার অন্তরে "ইঙ্গিত" দ্বারা নির্দেশ দিয়েছেন গৃহ নির্মাণ করো পাহাড়ে, বৃক্ষে ও মানুষ যে গৃহ নির্মাণ করে 
তাহাতে।

৬৯। ইহার পর প্রত্যেক ফল হইতে কিছু কিছু আহার করো, অতঃপর তোমার প্রতিপালকের সহজ পথ অনুসরণ কর। উহার উদর হইতে নির্গত হয় বিভিন্ন বর্ণের পানীয় । যাহাতে মানুষের জন্য রহিয়াছে আরোগ্য। অবশ্যই ইহাতে রহিয়াছে নিদর্শন চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য।

মধুর ঔষদি গুণ: মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যগুণ। আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে আর ফ্রুক্টোজ। আরো আছে মাঝারি অ্যান্টিসেপটিক গুণ। কেটে যাওয়া জায়গায় মধু লাগিয়ে রাখলে কোন প্রকার ইনফেকশন হয় না।

 মৌচাকে তিন ধরনের মৌমাছি থাকে । 
১।রানী মৌমাছি.২।কর্মী মৌমাছি বা স্ত্রী মৌমাছি বা worker bee ৩।পুরুষ মৌমাছি(কোন কাজ করে না)
স্ত্রী বা কর্মী মৌমাছি মূলত বন্ধা হয়ে থাকে।


রানী মৌমাছির ক্রোমোজোম সংখ্যা ৩২
পুরুষ মৌমাছির ক্রোমোজোম সংখ্যা ১৬

বিস্ময়কর গাণিতিক ব্যাপার সমূহ:
১।এই সূরা কোরআন শরীফের 16 নম্বর সূরা , বিজ্ঞান বলছে পুরুষ মৌমাছির ক্রোমোজোম সংখ্যা 16।
২। সূরার আয়াত সংখ্যা 128 যা ষোলো এবং বত্রিশ দ্বারা বিভাজ্য
১২৮/১৬=৮  
১২৮/৩২=৪
৩। এই সূরার শেষ আয়াতে 32 টি অক্ষর আছে যা রানী মৌমাছির ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান।

ﺇِ ﻥَّ ﺍ ﻝ ﻝّ ﻩَ ﻡَ ﻉَ ﺍ ﻝَّ ﺫِ ﻱ ﻥَ ﺍ ﺕَّ ﻕَ ﻭ … ﺍْ ﻭَّ ﺍ ﻝَّ ﺫِ ﻱ ﻥَ
ﻩُ ﻡ ﻡُّ ﺡْ ﺱِ ﻥُ ﻭ ﻥَ
৪। সূরা নাহলের ৬৮ নং আয়াতের ১৬ নং অক্ষর নাহল শব্দটি এসেছে। আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে এই ১ থেকে ৬৮ নম্বর আয়াত পর্যন্ত আল্লাহর নাম এসেছে ৩২ বার যা রানী মৌমাছির ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান।

আর ১ থেকে ৬৮ আয়াত পর্যন্ত মোট শব্দ ৮৮৪। 
আমরা ৬৮×১৩ =৮৮৪ পাই।

এটা স্পষ্ট যে এই সূরায়  আল্লাহ তাআলা মৌমাছির ক্রোমোজোম সংখ্যার  দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

আল্লাহর কোরআন সে কি এক অবিশ্বাস্য গানিতিক নিয়ম মেনে চলে তা আমরা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারি।

আরো অবিস্বাস্য যে  পোল্যান্ডের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড  স্টার্চবার্গার ১৮৭৫
(জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারী, ১৮৪৪, ওয়ার্শো পোল্যান্ড
মারা গেছেন: ১৮ মে, ১৯১২, বর্ন, জার্মানী)

সালে ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন মাত্র ১৪০ বছর আগে।
যার কথা কিনা বলা আছে ১৪৫০ বছর
আগের গ্রন্থে!!!
(সুবহানআল্লাহ)
 এই তথ্যগুলো পবিত্র কুরআনে সরাসরি আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেননি । কিন্তু পবিত্র কোরআনের গাঠনিক সুন্দর্যগুলোর গাণিতিক বিশ্লেষণ করলে আমরা এরকমই বিজ্ঞানের মৌলিক জিনিসগুলো একদম হুবহু পেয়ে যাই। 

মধু পোকার পাকস্থলীর সংখ্যা ২ টা। একটা তার নিজের জন্য খাবার রাখে অন্যটা সংগ্রহ করে রাখে।
এরা একটা বিশেষ ধরনের নাচ দেয় যার নাম weagal danch .

মৌচাক এর ধরনঃ

মৌচাকের কোন গুলি হল হেক্সাগোনাল ১২০ ডিগ্রি । এটা সারফেজ থেকে ৩০ ডিগ্রি  আঙ্গেলে থাকে। মৌচাক পানির কাছাকাছি থাকে। মৌচাক ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে। এর থেকে কম বা বেশি হলে মধু আর মধু থাকে না।এর জন্য কিছু মৌমাছি পানি সরবরাহ করে থাকে।


পানিয়  বা খাদ্য হিসাবে মধুর গুনাগুনঃ 
মৌমাছি বিবন্ন জিনিস carry করে। এবং তার শরিরে কিছু camical reaction হয়। এবং সেটা মানুষের জন্য রেখে দেয়।
www.technoboybd.com
মধু পোকা

মানব দেহে মধুর গুনাগুনঃ 
১। মধুর মধ্যে যে Component গুলি থাকে তার মধ্যে একটি হল Aspartic acid  যা মানব দেহের  ক্ষত শুঁকানোর কাজে লাগে। এই aspartic acid নতুন cell তৈরি করতে সাহায্য করে ।শরীরের কোন জায়গা ডেমেজ হলে regenerate করতে সাহায্য করে। 
২. এর মধ্যে acitail colin থাকে । বয়স বাড়তে থকালে হাত পা কাঁপতে থাকে যারা নিয়মিত মধু খাবে তাদের এই রোগ হবে না ।
৩। এর মধ্যে Cenamic acid আছে যার করনে আপনি যা খাবেন পেটের মধ্যে সব distroyed হয়ে জাবে। 

৪। আরেকটি component হল  Cafic acid আছে যা কোলন cancer রোধ করে ।
৫। এর মধ্যে haidroin আছে।ইনফেকশন prevent করে। 
৬। এর মধ্যে Gama globenin থাকে ।যা শরিরে emenity বা শক্তি যোগায় ।
৭।এর মধ্যে Hadrojen paroxaid থাকে যার কারনে কোন vactaria আক্তমন করতে পারে না। অতএব মধু always খাঁটি । 
৮। এর মধ্যে lilonic acid থাকে যা ত্বক সুন্ধর রাখে।
৯। এর মধ্যে একটা anti oxident থাকে যার নাম pinocendrin যা হার্ড প্রটেকশন দেয় , age processing slowdown করে।
১০। এর মধ্যে রয়েছে zinkcelenim । যাদের ঘুম হয় না তাদের জন্য উপকারী। pain kill করে। new cell creat করে ।
১১। এর মধ্যে দুটা এনজাইম আছে।  a. Daioctej 
                                                     b.Invertej 


Honey test sweet




মধুর উপকারিতা ঃ

পৃথিবীতে যত খাবার আছে তার যদি তালিকা করা হয় তার প্রথম সারিতে থাকবে মধু । আগের কালের নানি দাদিরা  ছোট বাচ্চাদের মধু খাবার পরামর্শ দিতেন।

মধু  নানাবিদ রোগ প্রতিরোদক হিসাবে আমরা ব্যাবহার করে থাকি। বিশেষ করে যুদ্ধ খেত্রে আহত সৈনিকরা মধু ব্যাবহার করে দ্রুত আরোঘ্য লাভ করে থাকেন। 
যারা নিয়মিত মধু সেবন করেন তাদের বয়সের চাপ কম হয়ে থাকে। জন্মের পর শিশুদের মধু সেবনে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। 

মধু মানুষের স্লিম থাকতে সাহায্য করে।

মধু Anticeptic হিসাবে কাজ করে ।

সৃতি শক্তির জন্য মধু। রুপ চর্চার জন্য মধু ভালো কাজ করে।

মধুর সাথে কালো জিরা মিশিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।

তবে ডায়াবেটিস রুগীরা মধু খাওয়া নিষেধ কারন এতে যে গ্লুকোজ আছে তা রুগীর জন্য ক্ষতিকর । তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে।


খাঁটি মধু চেনার উপায়ঃ

১। পানির পরিমাণ কম থাকা খাটি মধুর অন্যতম মানদন্ড হলেও সুন্দরবনের মধু হবে পাতলা হবে। কারণ হিউমিডিটি বেশিিো এগুলো যখন মৌমাছির তৈরি করে তখন পানিকে বেশি কমাতেেপারে না । এতে ২২.৫০% থেকে ২৫.৫০ % পানি থাকে।

২। সরিষা ফুলের মধু হবে ডিসেম্বরে এটি সাদা ও ঘন হবে।

৩। দনিয়ার মধু হবে কিছু অংশ জমে যাবে কিছু অংশ লিকুইড থাকবে।

৪। কালোজিরা আর মধু হবে কালচে বর্ণের।

৫। মধুকে ফ্র্রিজের মধ্যে রেখে দিন ঠাণ্ডায় জমবেনা কিন্তু ভেজাল মধু ঠাণ্ডায় জমে যাবে।

৬। এক টুকরো কাগজের মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু নিন তারপর যেখানে পিঁপড়া আছে সেখানে রেখে দিন পিঁপড়া যদি মধুর ধারে কাছে না আসে তবে তা খাঁটি মধু। আর পিঁপড়া যদি তা পছন্দ করে তবে তাতে ভেজাল আছে।

৭।এক গ্লাস পানি নিয়ে এতে এক টেবিল চামচপরিমাণ মধু নিন খুব ধীরে ধীরে গ্লাসটি শেক করুন যদি মধু পানিতে পুরাপুরি দ্রবীভূত হয়ে যায় তবে তা ভেজাল মধু আর মধু যদি পানিতে ছোট ছোট পিন্ডের আকারে থাকে তবে তা খাঁটি মধু।

৮। একটি কট্রন বারের এক প্রান্তকে মধুর মধ্যে ডুবিয়ে নিন তারপর উঠিয়ে হালকা শেক করে নিন। একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে তা আগুনের শিখায় ধরুন যদি তা জ্বলতে থাকে তবে মধু খাঁটি আর যদি না জ্বলে তবে মধুতে পানি মেশানো আছে । আর যদি মধুতে অল্প পরিমাণ পানি মেশানো থাকে তবে তা জ্বলবে না।













7







I

Post a Comment

Previous Post Next Post