চুল পাকা সমস্যা (Gray hair)

মানুষের চুল


মানুষের শরীরের  গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে চুল। চুল কে হিন্দিতে "কেশ" বলে । চুল সৌন্দর্যের প্রতীক। চুলবিহীন মানুষকে খুব একটা ভালো দেখা যায় না। সেই চুল যখন অল্প বয়সে সাদা হয়ে যায় তখন আমরা বিড়ম্বনায় পড়ে থাকি।



সাদা চুল মানে কালার বিহীন চুল।কম বয়সে পাকা চুলের সমস্যা কার না দেখা দেয়? এটি যে কোন বয়সের লোকজনের হতে পারে।যে কোন বয়সে উকি মারতে পারে সাদা রেখা।অকালে চুল পাকার ভিবিন্ন কারন হতে পারে । 

এবার আসুন কেন অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যাওয়া বা coller বিহীন চুল  সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

১। জিনগত সমস্যা।

২। অতিরিক্ত স্ট্রেস নেয়া বা অতিরিক্ত চাপ নেওয়া।

৩। পরিবেশ দূষণ একটা কারণ।

৪। খাদ্যভ্যাসে অতিরিক্ত ফাস্টফুড রাখা।

৫। ভিটামিন- E এর অভাব জনিত সমস্যা।

৬। পুষ্টির অভাব জনিত সমস্যা।

৭।কম ঘুম যাওয়া,

৮।নিম্ম মানের প্রসাধনীর ব্যাবহার

৯।জত্নে অবহেলা

১০।অতিরিক্ত চা-কপি পান করা।

১১। অতিরিক্ত খুসকির কারনে চুল সাদা দেখাতে পারে।

ডাক্তারের ভাষায় অকালপক্কতার আরো বহু কারণ হতে পারে।

মনে রাখবেন একবার চুল সাদা হতে থাকলে সেটি আর কখনো স্বাভাবিকভাবে কাল হবে  না। তাছাড়া মাথার চুল সাদা হতে শুরু করলে সেটাকে আর থামানো যায় না।

কারো কারো বয়স ত্রিশে পা দিলেই চুল পাকতে শুরু করে, দেখা যায় অর্ধেকের বেশি চুল পেকে গিয়েছে।

তাই মাথার চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি। চুল সাদা হতে দেখা দিলে কি করবেন? 

 এমন কিছু ফর্মুলা আছে যাহা অবলম্বন করলে সাদা হয়ে যাওয়া চুল কালো হয়ে যায়। আবর চুলের বাকি অংশগুলো র ও পুষ্টি সাধন হয়।

আমরা অনেকে বাজারে প্রচলিত কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করে থাকি।আজকে  ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে চুলের পুষ্টি সাধন করা যায় চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায় সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। এমন কিছু পদ্ধতি আছে যাহা অবলম্বন করলে আপনার চুলের রং এবং স্বাস্থ্য দুটোই বজায় থাকবে।

১।হেনা পাতার ব্যাবহার

২। কারি পাতার ব্যাবহার

৩।কালো কপির ব্যাবহার।

৪।আমলার ব্যাবহার।

৫। পেয়াজ এর ব্যাবহার।

৬।জয়তুনের তৈল এর ব্যাবহার।

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) স্বয়ং নিজে জৈতুনের তৈল ব্যাবহার করতেন। এই পদ্দতি চুল পড়া রোঁদে এবং চুলের অকাল পক্কতা রোঁদে  অত্তন্ত কার্যকরী ।


**চুল পাকা রোধে পেয়াজ এর ব্যবহার:

অকালে চুল পাকা রোধে পেয়াজ অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী একটি উপাদান। পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে অপেক্ষা করুন আধা ঘন্টা পর কুমকুম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।


**চুল পাকা রোধে কারি পাতার ব্যবহার:

কারি পাতা চুলের জন্য খুবই উপকারী ।ভিটামিন- এ ,ভিটামিন -ই, ক্যালসিয়াম ,কপার ও তামার উপাদানে সমৃদ্ধ কারিপাতা অকালপক্কতা রোদে ব্যাবহৃত হয় । চুলকে মোলায়েম করে।  নারকেল তেলের সাথে কারিপাতা মিশিয়ে ফোটা তে হবে। হালকা  কালছে আবা দেখা দিলে বুঝবেন আর গরম করার দরকার নেই , এবার এই মিশ্রণটি ঠান্ডা করে ভালো করে চুলের আগাগোড়ায় লাগিয়ে নিন, এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন । সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন।


**অকালপক্কতা রোধে আমলকির ব্যবহার:

আদিকাল থেকে আমলা বা আমলকি চুলের যত্নেে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নারিকেেেল তেলের সঙ্গে আমলা গুঁড়ো মিশিয়ে গরম করতে হবে। তারপর সেটা চুলের গোড়া থেকে ডগা অবধি  লাগিয়ে নিন। রাতভর মাথায় রাখুন তারপর সকালে কুসুম পানিতে চুল ধুয়ে নিন।  আমলকীর রস,বাদামের তৈল এবং লেবুর রস এক সঙ্গে মিসাইয়া প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন চুলে ব্যাবহার করলে চুল পাকে রোঁদ করা যায়।     

**চুল পাকা রোঁদে হেনা পাতার ব্যাবহারঃ 

চুল সাদা হওয়ার শুরুতে হেনা, ডিমের কুসুম ও টক দই মিশিতে প্যাঁক বানিয়ে চুলে লাগালে চুল সাদা হওয়া কমে যাবে।

 



www. technoboybd.com
চুল পাকা সমস্যা



আরো জানুন

ফল খাওয়ার উপকার


Post a Comment

Previous Post Next Post