সপ্তাহের পবিত্রতম দিন যেমন শুক্রবার তেমনি বছরের পবিত্রতম ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস হলো রমজান মাস। বহু ফজিলতপূর্ণ এই মাসকে নিয়ে আজকে আর্টিকেল।
🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️
🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️
![]() |
রোজা ও রমজান মাস |
রোজা রমজানের শিক্ষা।
প্রথমেই আসি রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে:
রমজান মাসের ফজিলত অনেক। তার মধ্য থেকে সামান্য কিছু ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা হবে।
বছরের শ্রেষ্ঠ তম মাস রমজান। রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা বলেন:
"রোজা আমার জন্য অতএব এর পুরষ্কার স্বয়ং আমি নিজেই দিব"
হাদিসে পাকের মধ্যে আসছে রোজা ঢাল স্বরূপ।
যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যেমনি ভাবে ঢাল ব্যবহার করা হয় জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রোজা হল ঢাল স্বরূপ।
অন্যান্য আমল যে রকম দেখা যায় রোজা কিন্তু দেখা যায় না। রোজা হচ্ছে বান্দার সাথে স্বয়ং আল্লাহর তাআলার সম্পর্ক। এর মধ্যখানে অন্য কিছুই নেই। অনন্য আমলে ( যেমন নামাজ, হজ, যাকাত) রিয়া অর্থাৎ লোক দেখানো হতে পারে। কিন্তু রোজা এমন একটি আমল এখানে লোক দেখানোর কিছুই নেই। রোজা একমাত্র শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য।
উম্মতে মুহাম্মদীর উপর যেরকম রোজা ফরজ হয়েছে তেমনি ভাবে পূর্ববর্তী উম্মতের জন্য ও রোজা ফরজ ছিল। আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য 30 রোজা ফরজ করেছেন। যাহা সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পালন করতে হয়।
রমজান মাস এমন একটি মাস যে মাসে একটি নফল আদায় করলে একটি ফরজ এর সমান সওয়াব পাওয়া যায়। একটি ফরজ আদায় করলে 70 টি ফরজ এর সমান সওয়াব পাওয়া যায়। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে চারটি কাজ বেশি বেশি করার জন্য বলেছেন।
সেগুলি হল:
১। কালেমার বেশি বেশি করে পড়া
২।ইস্তেগফার বেশি বেশি করে পড়া
৩।জান্নাত চাওয়া এবং
৪। জাহান্নাম থেকে নাজাত চাওয়া।
রমজান মাসে কিছু কিছু কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে
যেমন
১.দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত থাকা।
২.রোজাদারের সামনে খাওয়া থেকে বিরত থাকা। ৩.ঝগড়াঝাটি থেকে বিরত থাকা।
৪.অযথা কথা বলা।
৫. অন্যের গীবত গাওয়া থেকে বিরত থাকা।
৬. স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা।
রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য এক অনন্ন রাত লাইলাতুল কদর দান করেছেন। লাইলাতুল কদর এমন একটি রাত যেই রাতে কেউ যদি আমল করে তাহলে এক রাতের আমল হাজার রাতের আমলের চেয়েও উত্তম হবে। অর্থাৎ এক রাত্রের আমল 83 বছর 4 মাস এর সমান হবে। কতইনা দয়াময় খোদা যিনি আমাদেরকে লাইলাতুল কদর এর মত রাত দান করেছেন।
🏵️এবার আসুন রোজার শিক্ষা:
সিয়াম আরবি শব্দ। এর অর্থ হল রোজা। আর রোজার অর্থ সংযম। অর্থাৎ দিনের বেলা যাবতীয় পানাহার থেকে নিজেকে বিরত থাকার পাশাপাশি অন্যান্য খায়েসাত থেকে নিজেকে সংযত রাখা।
আরেকটা কথা বললেই নয় রমজান মাস তাকওয়া ও ফরেজ গারির মাস। এই মাসে বান্দা তাকওয়া ও ফরেজগারি অর্জন করতে সক্ষম হয়।
🏵️রমজান আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। যেমন না খেয়ে থাকার কষ্ট। একজন গরিব লোক যখন না খেয়ে থাকে তখন তার কি কষ্ট হয় তা আমরা রোজা থেকে শিখতে পারি।
🏵️কিভাবে তাকওয়া অর্জন করতে হয় তা আমরা রোজা থেকে শিখতে পারি।
🏵️রোজা মানুষকে আল্লাহর ভয় শিখায়। বান্দার খাওয়া সামনে থাকা সত্ত্বেও কোন কিছু খায় না। অথচ তাকে কেউ ই মানা করবে না যে তুমি খেয়ো না। একমাত্র আল্লাহর ভয় ইফতার পর্যন্ত অপেক্ষা করে।
🏵️রোজা পরস্পরের সাথে সৌহার্দ্য বোধ শিখায়।
একে অপরের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে।
🏵️রোজা যাবতীয় অন্যায় আচরণ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে।
🏵️রোজা মানুষকে সহমর্মিতা শিখায়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে জেনে সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন
🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️🏵️
Tags:
Islamic idea