মহানবী (সাঃ) এর অতুলনীয় আদর্শ । জানা-অজানার ইন্টারনেট ইন্টারনেট।।



আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেন নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি রহমত বর্ষণ করেন যারা ঈমান এনেছে তোমরাও তার প্রতি দরূদ পাঠ করো এবং তার জন্য বেশি বেশি করে শান্তি কামনা করো ।
                                         সূরা- আল আহযাব
                                                     আয়াত- 56

 বিশ্বনবী (সা:) কে কেবল মক্কা বৈদিক যুগের লোকদের জন্যই আবির্ভূত করেন নি।
বরং তিনাকে  কেয়ামত পর্যন্ত সারা দুনিয়ার মানুষ ও জাতির জন্য তৈরি করেছেন।মহানবী (সাঃ) অতুলনীয় জীবনাদর্শ ছিল কতইনা উত্তম। মহানবী (সাঃ) এর অনেক গঠনা  রয়েছে এখানে শুধু একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।



মোহাম্মদ( সা:) এর জীবনের শেষ মুহূর্ত :

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের শেষ মুহূর্তে চলছে। হঠাৎ সেখানে একজন লোক এসে বললেন সালাম' 
আমি কি ভিতরে আসতে পারি? ফাতিমা বললেন দুঃখিত আমার পিতা খুবই অসুস্থ। ফাতেমা (রাঃ) দরজা বন্ধ করে রাসূলের কাছে গেলেন।
বিশ্বনবী (সা:) বলেন কে সে লোক ? 
ফাতেমা বললেন এই প্রথম আমি তাকে দেখেছি ।আমি তাকে চিনি না।শুনো ফাতিমা সে হচ্ছে আমাদের এই ছোট্ট জীবনের অবসানকারী ফেরেশতা মালাকাল মউত আজরাইল।'


এটা শুনে ফাতিমার অবস্হা তখন ক্রন্দনরত বোবার মতো হয়ে গিয়েছিল। রাসূল (সাঃ) বললেন হে জিবরাঈল আমার উম্মতের কি হবে আমার উম্মতের নাজাতের কি হবে?



 জিব্রাইল আলাই আসসালাম বললেন, হে রাসুল আপনি চিন্তা করবেন না আল্লাহ ওয়াদা করেছেন আপনার উম্মতের নাজাতের জন্যে। মৃত্যুর ফেরেশতা ধীরে ধীরে রাসূলের কাছে এলেন জান কবজ করার জন্য।'


আজরাইল (আ:) আরো কাছে এসে ধীরে ধীরে রাসূলের জান কবজ করতে থাকলেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জিব্রিলকে রাসূল বললেন ঘোঙানির সাথে ওহ জিবরাঈল এটা কেমন বেদনা দায়ক জান কবজ করা।


ফাতেমা রাঃ  তার চোখ বন্ধ করে ফেললেন ।
আলী রাদিয়াল্লাহু তার দিকে উপুড় হয়ে বসলেন। জিবরাঈল তার মুখটা উল্টা দিকে ফিরিয়ে নিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে জিবরাঈল তুমিকি মুখটা উল্টা দিকে ঘুরালে কেন আমার প্রতি তুমি কি বিরক্ত?

জিবরাঈল (আ: ) বললেন, হে রাসূল সাকারাতুল মউতের অবস্হায় আমি আপনাকে কিভাবে দেখে সহ্য করতে পারি । ভয়াবহ ব্যাথায় রাসূল ছোট্ট একটা গোঙানি দিলেন।রাসূলুল্লাহ বললেন হে আল্লাহ সকরাতুল মউত যতই ভয়াবহ হোক সমস্যা নেই আমাকে সকল ব্যথা দাও আমি বরণ করবো । কিন্তু আমার উম্মাহকে ব্যথা দিওনা। রাসূলের শরিরটা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসতে লাগলো তার পা, বুক কিছুই নড়ছে না।'



রাসূলের চোখের পানির সাথে তার ঠোঁটটা কম্পিত ছিলো ।তিনি কিছু বলবেন মনে হয় । আলী রাদিয়াল্লাহু  তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে নিয়ে গেলো ।রাসূল বললেন নামাজ কায়েম করো এবং তোমাদের মাঝে থাকা দূর্বলদের যত্ন নাও। রাসূলের ঘরের বাইরে চলছে কান্নার আওয়াজ ।সাহাবীরা একজন আরেকজন কে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কান্নারত।




আলি( রা:) আবার তার কানটা রাসূলের মুখের কাছে ধরলো রাসুল চোখ ভেজা অবস্থায় বলতে থাকলেন ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি।

রাসুলের উম্মত হিসাবে আল্লাহ আমাদের সবার মাঝে বুঝ দান করুন আমিন।
***********"**""#""""""*********************

মন যদি দিতে হয় নবীকে দিও
আহা ভালো যদি বাসতে হয় নবীকে বাসো।

তোমার কষ্ট যাতনা 
যিনি সইতে পারেন না।।
আহা সেই নবীজির মহাব্বতে দুরুদ পড়িও।
মন যদি দিতে হয়, নবীকে দিও ।।
আহা ভালো যদি বাসতে হয় নবীকে ভেসে।

সারাজীবন কাঁদলেন নবী
এই যে দুনিয়ায়
আহা এখনো কাঁদেন তিনি
সোনার মদিনায়।।

উম্মতেরি পাগল নবী
উম্মতেরি পাগল নবী মনে রাখিও।
মন যদি দিতে হয় নবীকে দিও
আহা ভালো যদি বাসতে হয় নবীকে বাসো।

হাশরের ময়দানে নবী দাঁড়িয়ে থাকবেন
আহা মিলাদ পড়া উম্মতেরে পার করিবেন
হাশরের ময়দানে নবী দাঁড়িয়ে থাকবেন
আহা দুরুদ পড়া উম্মতেরে পার করিবেন।

সেই নবীজির মহাব্বতে দুরুদ পড়িও
মন যদি দিতে হয় নবীকে দিও
আহা ভালো যদি বাসতে হয় নবীকে বাসো।


তোমার কষ্ট যাতনা
যিনি সইতে পারে না
আহা সেই নবীজির মহাব্বতে মিলাদ পড়ীও
মন যদি দিতে হয় নবীকে দিও।




Post a Comment

Previous Post Next Post