নতুন পদ্ধতিতে ব্যাংক চেক ক্লিয়ারিং শুরু?? জানা অজানার ইন্টারনেট



                     নতুন পদ্ধতিতে ব্যাংক চেক ক্লিয়ারিং শুরু?? জানা অজানার ইন্টারনেট


গতকাল 29 অক্টোবর 2009  থেকে নতুন পদ্ধতিতে ব্যাংকের চেক ক্লিয়ারিং এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই আট হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৬৬ হাজার চেক ক্লিয়ারিং হয়েছে। আর সাড়ে 400 কোটি টাকার 60000 ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (eft) লেনদেন হয়েছে।



নতুন সংস্করণে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার দিনে দুইবার নিষ্পত্তি করা হবে। এর মাধ্যমে বেতন-ভাতাদি, সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রদত্ত ভাতাদি,বিল ও অন্যান্য পরিশোধ একই দিনে গ্রাহকের হিসাবে জমা হবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতি ব্যবহার করে আগে থেকেই অনলাইনে চেক লেনদেন বিভিন্ন ধরনের কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করে আসছে।




কিন্তু ইএফটির আওতায় শুধু ব্যাংকিং লেনদেনের সময়েই ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডাটা আফলোড করতে পারত। এখন ২৪ ঘণ্টাই আফলোড করতে পারবে। এর ফলে ২৪ ঘণ্টাই EFT এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হবে।
আবার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইএফটি পদ্ধতির মাধ্যমে সরকারি খাতের লেনদেনসহ বেসরকারি খাতের লেনদেন সম্পন্ন হয়। এতে EFT পদ্ধতির ওপর অনেক বেেসি চাপ পড়ে। অনেক সময় এর মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন হতে দেরি হতো।


 এ কারণে এবার দুটি সেশন চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, EFT এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন দ্রুত সম্পন্ন হবে। এর ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়বে। টাকা চলাচল বাড়বে, যা অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করবে।








গত ২৯ অক্টোবর এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সার্কুলার জারি করা  হয়েছে। এতে বলা হয়, EFT পদ্ধতি সার্বক্ষণিকভাবে চালু রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দুটি সেশন চালু করা হয়েছে। এর প্রথমটি রাত ১২টা ১ মিনিট হইতে বেলা ২টা পর্যন্ত এবং অপরটি বেলা ২টা ১ মিনিট হতে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এতে লেনদেন করতে ডেভিট ও ক্রেডিট লেনদেন আদালাভাবে উপস্থাপন করতে হবে।




বিদ্যমান চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রক্ষায় বর্তমানে কার্যরত বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজের আপগ্রেডেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। জানা যায়, বিএসিএইচ নামের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ২০১০ সালের নভেম্বরে কার্যক্রম শুরু করে। এর ফলে ব্যাংকগুলো একে অপরের চেক জমা ও লেনদেন নিষ্পত্তির সুযোগ পাচ্ছে। প্রথম দিকে এক লাখ বা তার বেশি অঙ্কের টাকার চেকের লেনদেন নিষ্পত্তি হতে কমপক্ষে এক দিন সময় লাগত। 





এখন এক দিনেই তা নিষ্পন্ন হয়ে সুবিধাভোগীর ব্যাংক হিসেবে চলে যাচ্ছে।
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার(EFT) এর মাধ্যমে কোন চেক ছাড়াই অর্থ লেনদেন করা সম্ভব। এতে প্রয়োজন হয় ইলেকট্রনিক আদেশ। আর এলেক্ট্রনিকস আদেশের মাধ্যমে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর হয়ে যায়।এখন বিভিন্ন সরকারি বাতা, কর্মীদের বেতন ,ডিপিএস এর টাকা জমা সহ নির্দিষ্ট অংকের টাকা পরিশোধ ও জমায় ইএফটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি অনেক সহজ এবং সিকিউর। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করার নাম হচ্ছে eft means ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার।


ছবি ইন্টারনেট

Post a Comment

Previous Post Next Post