==========যাকাতের হিসাব কিভাবে ক র বেন ???===========





====যাদের উপর যাকাত ফরয প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন সকল মুসলিম নর-নারীর উপর যাকাত আদায় করা ফরয। কোন ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের যাকাত আদায় করা ফরয ।কোন ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মাল এর মালিক হওয়ার পর চাঁদের হিসেবে পরিপূর্ণ এক বৎসর অতিবাহিত হলে তার ওপর  পূর্ববর্তী বছরের যাকাত আদায় করা ফরয ।


             ==অবশ্য যদি কোন ব্যক্তি যাকাতের নিসাবের মালিক হওয়ার পাশাপাশি ঋণগ্রস্ত হয় তবে ঋণ বাদ দিয়ে নেসাব পরিমাণ মাল এর মালিক হলে তার উপর যাকাত ফরয হবে ।যাকাত ফরজ হওয়ার পর যদি কোন ব্যক্তি যাকাত আদায় না করে টাকা খরচ করে ফেলে তাহলে ও তার পূর্বের যাকাত দিতে হবে ।নাবালেগ, পাগল এর উপর যাকাত ফরয নয। কারণ তাদের উপর  শরীয়তের বিধান আরোপিত হয় নি।

                == তবে যদি কোন মস্তিষ্ক বিকৃতি নিসাবের মালিক হওয়ার সময় এবং বৎসর পরিপূর্ণ হওয়ার সময় সুস্থ থাকে কিন্তু মধ্যবর্তী সময়ে মস্তিস্ক বিকৃতির শিকার হয় তাহলেও তার যাকাত আদায় করতে হবে। যদি না বলে অথবা মস্তিষ্কবিকৃত ব্যক্তির পক্ষে আইনানুগ অভিভাবক নিযুক্ত থাকেন তবে তার পক্ষে আইন আলোকে যাকাত পরিশোধ করতে হবে।।


                         যাকাতের নেসাবঃ

               === রুপা 52.50 বরি বা 612.360 গ্রামে( এক ভরি = 11.64 গ্রাম )কিংবা  7.50 বরি  বা  87 দশমিক 480 গ্রাম অথবা স্বর্ণ-রুপা যেকোনো একটি নেশাবের মূল্য পরিমাণ টাকা পয়সা বা ব্যবসায়ী ক সামগ্রীকে যাকাতের নেসাব বলে ।

               ==কোন ব্যক্তির মৌলিক প্রয়োজন পূরণের পর নেসাব পরিমাণ মাল তার মালিকানায় থাকে এবং চন্দ্র মাসের হিসাবে এক বৎসর তার মালিকানায় স্থায়ী থাকে তাহলে তার ওপরে মাল থেকে 40 ভাগের এক ভাগ যাকাত আদায় করা ফরয ।মনে রাখতে হবে বৎসরের শুরু শেষ বিদ্যমান থাকা জরুরী বছরের মাঝখানে ইনসাফপূর্ণ না থাকলেও যাকাত আদায় করতে হবে ।সম্পদের উপর একটি অংশের উপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয় বরং শু্দু নেসাব পরিমাণ এর উপর বছর অতিবাহিত হওয়ার শর্ত।
 যদি বছরের শুরুতে শুধু নেসাব পরিমাণ সম্পদের পরিমান  বেশি হয় তাহলে ওই বেশি পরিমানের উপর যাকাত প্রদান করতে হবে ।


বছরের যেকোনো অংশে অলীক সম্পদ জমা হলে তার পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়ার শর্ত ।যাকাত ফরজ হওয়ার ক্ষেত্রে মূল নেসাবের উপর অতিক্রম করা সর্ত নয় ।যাকাত,  কুরবানী্স‌দকায়ে ফিতর, হজ শরীয়তের বিধান সম্পদের মালিকানা সাথে সম্পৃক্ত।


                                                    সর্ণ রূপার যাকাতঃ



     ===  যাকাত যদি কারো নিকট 7.50 ভরি স্বর্ণ বা ৮৭.৪৮০ গ্রাম  বা ৬১২.৩৬০ গ্রাম রূপা থাকে তাহলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব।বিবাহিত বা অবিবাহিত যে কোন অবস্থায় যে কোন বস্তু স্বর্ণ 1215 যে কোন বস্তু সর্বাবস্থায় সোনা-রুপার যাকাত ফরজ।  হীরা diamond ,white gold্‌platinum অতি মূল্যবান ধাতু যদি সম্পদ হিসেবে বা টাকা কেন উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয় তাহলে বাজার মূল্য হিসাবে তার যাকাত দিতে হবে।






           =  =    অলংকারসহ সকল প্রকার সোনা-রুপার যাকাত দিতে হবে ।আল্লাহ তা'আলা বলেন যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঁজি করে রাখে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদের পীড়াদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।
সূরা তাওবা আয়াত------ 34

             =হাদীসে বর্ণিত আছে একবার দুজন মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর নিকট তাদের দুজনের হাতে সোনার কঙ্কন ছিল তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা তোমাদের অলংকারের যাকাত দাও কি ?  তারা বলল না । তখন নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেনঃ তোমরা কি পছন্দ করবে যে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে আগুনের দুটি বালা পরিয়ে দিবেন। তারা দুজন বললো না । তখন নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন তাহলে তোমরা এই স্বর্ণের যাকাত আদায় কর।

তিরমিজি



                                                    নগত অর্থের যাকতঃ



               =========নগদ অর্থ টাকা-পয়সা ব্যাংক জমা বৈদেশিক মুদ্রা নগদ fc ,account্‌easy order, বস কোম্পানির শেয়ার , মিচুয়াল ফান্ড, বন্ড ডিবেঞ্চার, সঞ্চয়পত্র , জমাকৃত মালামাল , প্রাইজবন্ড , বীমা পলিসি ,জমাকৃত।deposit pension scheme কিংবা নিরাপত্তামূলক তহবিলে জমাকৃত অর্থের যাকাত প্রতি বৎসর যথা নিয়মে প্রদান করা জরুরি ।



অনুরূপভাবে চাকরিজীবী প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাক্রিত নিহ অন্সে জমা করা অংশের জমাকৃত অর্থের যাকাত প্রদান করতে হবে। কর্তৃপক্ষের অর্থ কেবলমাত্র হাতে পেলে যাকাত হিসেবে আসবে ।টাকা হাতে পেলে যাকাত হিসেবে আসবে।






Post a Comment

Previous Post Next Post