===পবিত্র রমজানে ইতেকাফ এক অনন্য এবাদত====


                         বিত্র রমজানে ইতেকাফ এর ফযিলত 



======রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিতভাবে প্রতিবছর রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে এতেকাফ করতেন এবং সাহাবা একরাম এতেকাফ করতেন ।=======

   রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতেকাফ কে এত বেশি গুরুত্ব দিতেন যে কখনো ছুটে গেলে পরের মাসে আদায় করতেন।
    উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম প্রতি রমজানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত কায়েম ছিল।

    রাসূলের সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ওফাতের পর  তার সাহাবীরা এ নিয়ম পালন করেন ।

                                                                 
                                                                                                       (বুখারী ও মুসলিম)


      এ আমলের ফজিলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাললাম বলেন এতেকাফ করি ও দোযখের মাঝে এমন তিনটি পরীক্ষা তৈরি করে দেবেন যার একটি থেকে অপরটির দূরত্ব হবে পূর্ব ও পশ্চিমে এরও বেশি ।তিরমিজি ও বায়হাকী





    অন্য এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশ দিনে এতেকাফ করবে তার জন্য 2 ওমরাহর স ওয়াব রয়েছে। বায়হাকী



         রমজানের শেষ দশ দিনের সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ এতেকাফ। আরবি ইতিকাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ অবস্থান করা ,আবদ্ধ হয়ে থাকা ,আর পরিভাষায় একে বলা হয় রমজান মাসের শেষ দশ দিন অথবা অন্য কোনদিন জাগতিক কাজকর্ম ও পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইবাদতের নিয়তে মসজিদে বা ঘরে নামাজের স্থানে অবস্থান করা এবং স্থির থাকা।




         মূল উদ্দেশ্য হল আল্লাহর ঘরে বসে থাকে মনেপ্রাণে স্মরণ করা। নিবিড় হয় মহান রবের থাকা তার অনুগত নিজেকে বিলীন করা ।আর পবিত্র রমজানের বিশেষ লক্ষ্য হলো লাইলাতুল ক্বাদর যা কিনা সেই রজনী তালাশ করা। সেই রজনীতে নিজেকে ধন্য করা ।


রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম শবে কদর প্রাপ্তির আশা নিয়েই ইতেকাফ করতেন ।তিনি প্রথম দশকে ও ইতিকাফ  করেছেন মদ্য দশকেও করেছেন এরপর শেষ দশকে ।


      এ ব্যাপারে নবী করিম সা: বর্ণনা করেন আমি প্রথম দশকে এতেকাফ করেছি এরপর মধ্য দশকে এরপর আমাকে দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে তা শেষ দশকে ।অতএব তোমাদের মধ্যে যারা এতেকাফ করা পছন্দ করা হয় সেজন্য ইতেকাফ করে। মুসলিম



  এতেকাফের সময় শুরু হয় রমজানের 20 তারিখের সূর্য ডোবার কিছু আগে  থেকে আর ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়া পর্যন্ত শেষ হয়ে যায় ।


  এতেকাফের পুরো সময়টা মসজিদে অবস্থান করতে হবে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া এবং ফরজ গোসল ছাড়া অন্য কোনো কারণে মসজিদের বাইরে গেলে এতেকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ  সা: বলেছেন এতেকাফকারী রোগী দেখতে যাবে না জানাজায় উপস্থিত হবে না স্ত্রীকে স্পর্শ করবে না বিশেষ জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে যাবে না। বুখারী মুসলিম .


রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন এতেকাফকারী রোগী দেখতে যাবে ।

এতেকাফকারী মসজিদে নিজেকে আল্লাহর জন্য আবদ্ধ করে রাখেন মসজিদের বাইরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক নে ক কাজ তিনি করতে পারেন না। কিন্তু এতে ভাবনার কিছু নেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন এই ব্যক্তি যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য কোন ব্যক্তি বাইরের কোন নেক কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকলেও ওই নেতা সমূহের পূর্ণ নেকী সে লাভ করবে।




I





Iজ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ঠ মুক্তি সে
খানে অসম্ভব তাই সবকিছু আমাদের যুক্তি দিয়া মানতে হবে
যুক্তির রাজ্যে যিনি যত অভিগ্ঘ তিটি ততো জ্ঞানী জানার কোনো শেস নেই। জানার নাম জ্ঞান।
দিনের আলোতে এমন কাজ করো না,যাতে রাতের ঘুম নষ্ট হয়. :
আর রাতের অন্ধকারে এমন কাজ করোনা,যাতে তোমাকে দিনের আলোতে মুখ লুকিয়ে থাকতে হয়।

আল্লাহর বাণী

“তোমরা জ্ঞানীদের নিকট জিজ্ঞাসা কর যদি তোমরা না জান” [ সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৭]

"মা" সম্পর্কে পৃথিবীর বড় বড় জ্ঞানীদের
বাণী
১.সেই মায়ের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলো না, যেই মা তোমাকে কথা বলা শিখিয়েছেন।
হযরত আলী (রাঃ)
২.হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ)থেকে বর্ণিত আছেঃ- জান্নাত জননীর পদতলে।
৩.মায়ের মুহব্বতের ব্যাখ্যা একমাত্র মায়ের কাছেই পাওয়া যাবে। -শেখ সাদী (রহঃ)।
৪."মা" শূন্য গৃহ আমার জন্য কবরস্থানের সমতুল্য। 
-বাদশাহ আওরঙ্গজেব আলমগীর
৫."মা"ও ফুলের মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখতে পাই না।
-দিকবিজয়ী সম্রাট নাদির শাহ্।
৬.সন্তানের জন্য সবচেয়ে শান্তির আশ্রয় হল মায়ের আঁচল।সন্তানের জীবন যেই পর্যায়ের হোক না কেন। 
-দার্শনিক শেকসপিয়ার
৭.পৃথিবীবাসীর জন্য আকাশ জগত থেকে আগত একমাত্র শ্রেষ্ঠ উপহার হল "মা"।
-দার্শনিক মিলটন 
🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻

Post a Comment

Previous Post Next Post