সে দিক থেকে ইউটিউব এবং টুইটার ও কম নয়। সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো এখন শুধু আজহারী কে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা। কেন? তার ভিতরে কি এমন রয়েছে যে তাকে নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা করতে হবে। সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশের বহু আলোচক আমাদের নজরে এসেছে।
কাউকে নিয়ে এত বেশি আলোচনা-সমালোচনা দেখা যায়নি যতটুকু দেখা গিয়েছে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ক্ষেত্রে। আমরা মাওলানা তারেক মনোয়ার এর কথা শুনেছি, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কথা শুনেছি, জৈন পুরের পীর সাহেব দের কথাও আমরা শুনেছি, আমরা মাওলানা আমির হামজার ওয়াজ শুনেছি, চরমোনাই পীরের ওয়াজ শুনেছি, শর্ষিনা দরবার শরীফ, তাবলীগ জামাত, জামাত ইসলাম বাংলাদেশ ইত্যাদি ইত্যাদি।
এত বেশি আলোচনা-সমালোচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়নি যত বেশি দেখা গিয়েছে ইন্টারনেটের এই যুগে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ক্ষেত্রে। বলা যায় এত কম সময়ে তিনি জনপ্রিয়তার অনেক শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন। মূলত এটিই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্চ মাস পর্যন্ত এতগুলো প্রোগ্রাম তাকে বন্ধ করে চলে যেতে হয়েছে মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশের ইসলামী কোরআনের জগতে এক নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করেছিলেন ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী। তার জনপ্রিয়তার একটা দৃষ্টান্ত হলো তিনি বর্তমান পেক্ষাপটে কুরআনের আলোকে বয়ান করে থাকেন। এবং বেকার যুবক-যুবতী চাকরিজীবী ব্যবসায়ী সকলকে আল্লাহর দিকে মুতাবার্যু হওয়ার জন্য কোরআনের আলোকে বয়ান করতে। তিনি তরুণদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
তার বয়ান শোনার জন্য লক্ষ লক্ষ যুবক ,বৃদ্ধ ,ছাত্র আমজনতা, নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বাস, সিএনজি, রিকশা ভাড়া করে আসতেন। ঘুমন্ত তরুণদেরকে তিনি জাগ্রত করার চেষ্টা করতেন। তরুণদেরকে ইন্সপায়ার করতেন ভালো কাজের দিকে।
দেখা গেছে তার মাহফিলে আসছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ । চায়ের দোকানে বসে তার বয়ান ফেসবুক ,ইউটিউব শয়লাব তার মাহফিলের ভিডিও।এমতাবস্থায় শুরু হলো তাকে ঘিরে নানা ধরনের বিতর্ক।
মালয়েশিয়া থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায় আজহারী
5 কোটি টাকা দামের একটি bentoli গাড়ি চালাচ্ছেন। এ নিয়ে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ঝড় উঠে।এমতাবস্থায় দেখা যাচ্ছে দেশে না থেকেও দেশের আলোচনার শীর্ষে অবস্থান করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
বিতরকের শুরু হয়েছিল আজহারীর একটি ভিডিও থেকে। সেখানে তিনি বলেছেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তি কামনা করছেন এবং ঘরে ঘরে চাঁদের মত মানুষের জন্ম হওয়ার কথা বলছেন।এই ঘটনার কিছুদিন পরেই জাতীয় সংসদের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ তীব্র সমালোচনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। প্রতিমন্ত্রী বলেন আযহারি জামাতের লোক।
এর মধ্যেই দেশের মজার পূজারীরা তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আজহারী মাহফিল। নিষিদ্ধ করা হয় তার বয়ান।কক্সবাজার নবীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে সহ আরো কয়েকটি স্থানে পূর্বনির্ধারিত মাহফিলে যোগ দিতে পারেননি আজহারী। এরপর হঠাৎ করেই তিনি সব মাহফিল স্থগিত করে অজ্ঞাত কারণে মালয়েশিয়া চলে যান। মালয়েশিয়া গিয়ে আবার নতুন করে আলোচনায় আসেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।তিনি সত্যিই একজন ধর্মপ্রাণ আলেম ।
Tags:
Islamic idea