কোরবানি কি , কেন এবং কার উদ্দেশ্যে করব?? জানা অজানার ইন্টারনেট।।

ছবিঃ ইন্টারনেট
কোরবানি একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হতে হবে। অন্য কারো উদ্দেশ্যে কুরবানী দিলে তা কবুল হবে না।
কোরবানি একটি উর্দু শব্দ। আরবিতে একে "নুসুক" বলা হয়। ইংরেজিতে বলা হয় স্যাক্রিফাইস।


ইসলামী শরীয়াহ মুসলমান জাতির জীবনটাই একটি কোরবানি সমতুল্য। সূরা আল আনআম এর 162 নম্বর আয়াতে মুসলিম জীবনের আদর্শ কে উল্লেখ করে বলা হয়েছে" নিশ্চয়ই আমার নামাজ আমার আত্মত্যাগ অর্থাৎ কোরবানি , আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু বিশ্বজগতের প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহর ই উদ্দেশ্যে।


প্রকৃতপক্ষে কোরবানি হচ্ছে আত্মত্যাগ, স্বার্থ ত্যাগ, সম্পদ তেগ এবং সর্বোপরি জীবন ত্যাগের বিনিময়ে  আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। যারা এরূপ ত্যাগ স্বীকার করবে বা করতে পারবে তাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন।পাশাপাশি আল্লাহ সমগ্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে জান্নাতের সব সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সূরা তাওবার 72 নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক বলে দিলেন"" কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি সর্বশ্রেষ্ঠ এবং এটি চরম সাফল্য""।



প্রিয় বন্ধুরা এবার আপনারাই বলুন কুরবানীর উদ্দেশ্য যদি গোস্ত খাওয়া হয় তাহলে কি কোরবানি হবে? কোরবানি একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হতে হবে।


আর কোরবানির পশু নিয়ে যারা অহংকার করেন, যারা উচ্চমূল্যের পশু ক্রয়ের প্রতিযোগিতায় লোক দেখানো কোরবানি দেন তাদের কোরবানি হালাল হবে না। অতএব কোরবানির মাহাত্ম্যকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হলে নিজেকে আগে সংযমী, ত্যাগী, নিরহংকা ও আত্মোৎসর্গকারী করুন।


 তবেই আপনার কোরবানিতে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ হবে।
এবার আসুন যারা কোরবানির পশু নিয়ে অহংকার করে তাদের সম্পর্কে কিছু বলা যাক:
যারা উচ্চমূল্যের পশু ক্রয়ের প্রতিযোগিতায় লোক দেখানো কোরবানি দেন তাদের কোরবানি হালাল হবে না।অতএব কোরবানির মাহাত্মকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হলে নিজেকে আগে সংযমী ,ত্যাগী নিরহংকার ও আত্মোৎসর্গকারী হতে হবে। তবেই আপনার কোরবানিতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ সম্ভব হবে। অন্যথায় কোরবানির উদ্দেশ্য সফল হবে না।


আর একটি কথা না বললেই নয় যারা কোরবানির পশু ওজন করে কিনে থাকেন তাদের কোরবানি কবুল হবে কিনা আল্লাহই জানে।


সূরা হজের ৩৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন ‘এই পশু কোরবানির রক্ত এবং গোশত কিছুই আমার কাছে উপনীত হয় না, শুধু উপনীত হয় তোমাদের অন্তরের তাকওয়া,সদিচ্ছা এবং আমার আদেশের প্রতি তোমাদের আনুগত্য’।


সুরা হজ্জ এর 36 নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন "এই পশু, রক্ত, কোরবানির গোশত কিছুই আমার কাছে উপনীত হয় না শুধু উপনীত হয় তোমাদের অন্তরের তাকওয়া, সদিচ্ছা এবং আমার আদর্শের প্রতি তোমাদের অনুগত্য"।



কোরবানি শুধুমাত্র হুযুর সাল্লাল্লাহু এর উম্মত এর জন্য ওয়াজিব ছিল এরকম নয়। বরং হযরত আদম (আলা:) থেকে কোরবানির প্রক্রিয়া চালু ছিল। পরবর্তী সময়ে হযরত ইব্রাহিম আলাই হে আসাল্লাম এবং হযরত ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোরবানি ছিল আল্লাহ পাকের কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয়।


আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনের সূরা সাফ্‌ফাতের( ১০৭-১০৮) নম্বর আয়াতদ্বয়ে এই রূপান্তরিত কোরবানিকে এইভাবে উল্লেখ করেছেন, "আর আমরা একটি পশু জবাইয়ের বিনিময়ে তার পুত্রকে জবাই করা থেকে এক মহৎ কোরবানিতে পূর্ণ করলাম এবং এইভাবে পরবর্তী মানুষের জন্য পশু কোরবানির মাধ্যমে কোরবানির শিক্ষাকে প্রচলিত রাখলাম।"
কোরবানির পশু কি রকম হতে হবে?



কোরবানির পশু হতে হবে চার পা ওয়ালা বিশিষ্ট গৃহপালিত প্রাণী। দেখতে সুন্দর কোন প্রকার খুঁত থাকলে চলবে না।
এটি হতে পারে উট ,গরু ,মহিষ ,দুম্বা, বকরী, ছাগল।

Post a Comment

Previous Post Next Post